ভারতের সাথে সরকারের একতরফা গোলামীর সম্পর্ক তৈরি করেছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ভারতের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা এখন আওয়ামী লীগের মূল এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার আওয়ামী লীগকে একতরফাভাবে সহযোগিতা করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের সাথে কোনো অন্যায্য ও অসাম্য চুক্তি, সমঝোতা মেনে নেবে না।
তিনি ৩রা জুলাই বুধবার দুপুরে লেবার পার্টির ৮৫/১ নয়া পল্টন কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি বিভিন্ন জেলা ও মহানগর নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে একথা বলেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ ইরান আরো বলেন, আমরা অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে ভারতের ব্যবস্থাপনায় ভারতের ট্রেন চলাচলের চুক্তি বাতিল চাই। মিয়ানমারের জাতিগোষ্ঠীর সাথে সেনাবাহিনীর যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত পানিসীমায় নির্বিচারে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে সেন্টমার্টিনের সাথে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সরকার কূটনীতিক তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিতরে গুলিবর্ষণ বন্ধ করতে পারছে না বরং ক্ষীণকণ্ঠে বলছে, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াবো না। এমনকি বাংলাদেশে অবস্থানরত ১৩-১৪ লাখ রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন করতেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ভারতের সাথে সরকারের স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক দাবি করলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও ভারতকে নিজেদের পক্ষে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে ডামি সরকার।
তাই এই অবৈধ ফ্যাসিবাদে বিশ্বাসী নতজানু সরকারের দ্বারা কোনভাবেই দেশের স্বার্থরক্ষা করা সম্ভবপর নয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের বৃদ্ধির মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। আমরা দেশের জনগণকে এই ভারতীয় তাবেদার সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। জনগণের জাগরণই পারে মাফিয়াতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মানের পথ সুগম করতে।
মতবিনিময় কালে লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান মুকুল, রাজশাহী মহানগর সাধারন সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম ও জামালপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়ার, পিরোজপুর জেলা যুগ্ম-আহবায়ক ইমরান হোসেন ও ছাত্রমিশনের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।