বন্দর সেন্টারে ৭ জুন বিকালে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক সমর্থিত গ্রুপের সাথে বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে ভয়াবহ রক্তাক্ত সংঘর্ষ হয়। এতে এম এ মান্নান চৌধুরী , বরুমছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন ও পুলিশ সদস্য জাবেদসহ অন্তত ১৮ জন নেতা কর্মী আহত হয়।ভিডিও চিত্রে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চৌধুরী মন্জু দৌঁড়ে পালাতে দেখা গেছে। ওই সংঘর্ষে চেয়ার ও লাঠি ব্যবহারের সচিত্র দূশ্যও সাধারণ মানুষের চোখে পড়েছে্।
প্রসংগত কাজী মোজামেল হক বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি ও অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী সাবেক ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ অনুসারী। এর আগে একই কমিটিতে কাজী মোজামেল হক আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।ওই সময় দুইজনই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ অনুসারী ছিলেন। কাজী মোজাম্মেল হক ছাত্রলীগ থেকে গড়া উঠা আওয়ামী লীগ নেতা অন্যদিকে ছাত্র সেনা থেকে অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী আওয়ামী লীগে ইন হন।
এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দেশের অধিকাংশ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা সংবাদ পরিবেশন করেছে। দৈনিক প্রথম আলো শিরোনাম করেছে ‘ বাজেটকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ , দৈনিক আজাদী ‘আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ কাঁদানে গ্যাস, ফাঁকা গুলি ‘ দৈনিক পূর্বদেশ ‘আনোয়ারায় আ.লীগের দু গ্রুপে সংঘর্ষ, সভাপতিসহ আহত ১২’ দৈনিক পূর্বকোণ আনোয়ারা উপজেলা সভাপতিসহ দু পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে।এসব সংবাদ প্রকাশের পর জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়।
১.বাজেট পেশ হয় ৬ জুন।৬ জুন নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে চাতরীতে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করা হয়।কিন্তু ৭ জুন মান্নান গ্রুপ বাজেটের নামে সমাবেশের কারণ কী ? ২. আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ লাভ কার? ৩. ওয়াসিকা ও জাবেদ কী জানতেন এই রকম একটি সংঘর্ষ হবে ? ৪. মান্নান সাহেবকে যখন আহত করা হয় তখন তার অনুসারীরা কোথায় ছিল ? এবং ৫. এই ঘটনার পর আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের এই উত্তেজনা নিরসণে কে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে ? এই রকম অসংখ্য প্রশ্ন জনমনে বিরাজ করছে।