ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৯টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, আগামী ২৯শে মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করতে মাঠ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।এরমধ্যেই গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হেনেছে। যার ফলে কোথাও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়। এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী অনেক নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করেছে, বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে গেছে, কোথাও আবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন বরিশাল জেলার গৌরনদী , বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, আগুনঝারা, পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, বরগুনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা এবং রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাসহ মোট ১৯ উপজেলার ভোট আপাতত স্থগিত হয়েছে। এই ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিতের ফলে আগামী ২৯ মে ৯০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সচেতন মহল রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন দেশের অন্যন্যা উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থা বেগতিক হলে নির্বাচন স্থগিত হতে পারে।