রানা সাত্তার
এই প্রথম চট্টগ্রাম শহরে উত্তর চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম কে কেন্দ্র করে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ফ্যাকো মেশিনের মাধ্যমে ছানি অপারেশন এবং উন্নতমানের লেন্স প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করছে।
এ সেবার অংশ হিসেবে আজ ২৬এপ্রিল(শুক্রবার)চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালে নতুন সংযোজিত ফ্যাকো অপারেশন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা.আবির বিন সাজ্জ,এমবিবিএস(এএফএএমসি),এমএস(বিএসএমএমইউ),কনসালটেন্টঃকর্নিয়া,ক্যাটারেক্ট,ফ্যাকো এন্ড রিফ্রেকটিভ সার্জারী)
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃমোঃশফিকুল ইসলাম,এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (কোর্স, চক্ষু)ও ডিরেক্টর ডাঃমোঃরাফায়েত হোসেন,এমবিবিএস, এমএস(চক্ষু),ডিরেক্টর ডাঃ মোঃআহমুদুল বারী,এমবিবিএস, এমএস(চক্ষু),ডিরেক্টর ডাঃমোঃসাবেরী,এমবিবিএস,পিজিটি(আই)ও অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ।
চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃশফিকুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকল ডিরেক্টর,ডাক্তার, নার্স,স্টাফ,টিম মেম্বারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালে উন্নতমানের প্রযুক্তি-নির্ভর আরো চিকিৎসা চলমান থাকবে, যাতে সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে সময়োপযোগী উন্নত চিকিৎসা সেবার সুযোগ পান।অন্ধত্বকে দূরীকরণই আমাদের মুল লক্ষ্য।
ফ্যাকো সার্জারির সুবিধাসমূহঃ
(১)সেলাইবিহীন;(২)দ্রুত সেরে ওঠে; (৩)৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারা, এর মধ্যে -গাড়ি চালানো, লেখাপড়া করা, টিভি দেখা, অফিস করা;(৪) অপারেশনের কিছু সময় আগে ভর্তি হওয়া;(৫)অপারেশনের পর বাসায় চলে যাওয়া;৬)Surface Anaesthesia এর মাধ্যমে অপারেশন করা হয়; (৬) যে সমস্ত রোগী সহযোগিতা করতে পারেন তাদের ইনজেকশন না দিয়ে শুধুমাত্র ড্রপের মাধ্যমে অপারেশন করা হয়; (৭)ইনজেকশন না দিলে এবং ডাক্তার উপযুক্ত মনে করলে অপারেশনের পর চোখে ব্যান্ডেজ না দিয়ে বাড়ি পাঠাতে পারেন;(৮)জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে এবং (৯)অপারেশনের পরপরই স্বাভাবিক খাবার খেতে পারবেন।