রানা সাত্তার,চট্টগ্রাম
সরকারি দপ্তর গুলিতে বৈধ বিল ভাউচার ছাড়া কোন কিছু ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন করা অবৈধ বলে আইন থাকলেও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর নামে ভুয়া বিল ভাউচার ব্যবহার করে এবং কোন কোন সময় কোন ধরনের বিল ভাউচার ছাড়াই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাত ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আসছিল দীর্ঘদিন যাবত।
এরই আলোকে,গত ২১ শে মার্চ ( বৃহস্পতিবার) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক এর নেতৃত্বে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে(কেজিডিসিএল) অভিযান চালিয়েছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১।
অভিযানে ভুয়া বিল ভাউচার ব্যবহার করে এবং কোন কোন সময় কোন ধরনের বিল ভাউচার ছাড়াই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাত ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মোজাহার আলীর বিরুদ্ধে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডব্লিউপিপিএফ/বিপিপিই এবং এফডিআরের ইন্টারেস্টসহ দুই কোটি ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা মিলে।
এ সময় অভিযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যথাক্রমে মহাব্যবস্থাপক (হিসাব), উপ মহাব্যবস্থাপক (বাজেট) এবং উপব্যবস্থাপককে (বাজেট, ফান্ড, ওয়েলফেয়ার) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, অভিযানে ভুয়া বিল ভাউচার ব্যবহার করে এবং কোন কোন সময় কোন ধরনের বিল ভাউচার ছাড়াই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাত ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন শীঘ্রই কমিশন বরাবর দাখিল করা হবে এবং কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ সময় এনামুল হক আরো জানান,সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের অভিযান অব্যাহত থাকবে।