বিনোদন ডেস্ক
মধ্য ফাল্গুুনের বিদায়ী সূর্য আসন পাতায় ব্যস্ত যেন। এক রত্তিম আভা নিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে দাপুটে সূর্য পশ্চিমাকাশে। আর আগমনী অমাবস্যার ছোঁয়ায় কর্ণফুলী যেন হয়ে উঠেছে চঞ্চলা হরিণী।
প্রকৃতির অমোঘ লুকোচুরি খেলার সাথে পাল্লা দিয়ে স্বীয় আবহে ছুটে চলছে সাঙ্গু, হালদা আর কর্ণফুলী। এগিয়ে চলা ত্রিবেণী সঙ্গমের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা শ্রীমৎ স্বামী তারানন্দ মহাকালী যোগাশ্রমের উঠোন জুড়ে বসেছে যেন দেবশিশুদের সুরেরমেলা।
গায়ে সবার হলুদ পাঞ্জাবি আর জামা, হলুদ ফিতায় বাঁধা বিনুনি। দেবঙ্গনের সবুজ চাদরে ঢাকা অঞ্চলে বকুলের গন্ধ গায়ে মেখে চলছে স্রষ্টার সৃষ্ট সুরের ধ্যান সাধনা।
দেবশিশুদের সুরসাধনার গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে অগ্রণীশোভন সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন বংশী শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তাদেরই সুরাধ্য জ্ঞানবৃক্ষ দীপংকর দেবনাথ।
আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) যোগসিদ্ধ পুরুষ শ্রীমৎ স্বামী তারানন্দ পূরী মহারাজ’র ১৭৫তম জন্ম উৎসব ও দেবাদিদেব মহাদেব’র পূর্ণতিথি শিব চতুর্দশী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা সভা ও সনাতনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্রীমৎ স্বামী তারানন্দ মহাকালী যোগাশ্রম। আর সেই সংগীতায়োজন যেন পরিনত হয়েছে এক ঝাঁক শিশুশিল্পীর মিলণ মেলায়।
সংগীতানুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে বংশী শিল্পকলা একাডেমি চান্দগাঁও ও মোহরা শাখার কন্ঠ সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় গীতিনাট্য।
সঞ্চালকের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা ছিলো মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ। শুদ্ধতার আবেশে নান্দনিক উপস্থাপন সংগীতায়োজনে এনেছে ভিন্নমাত্রা।
প্রকৃতির কোল জুড়ে আঁধারের আয়োজন। আশ্রম কর্তৃপক্ষের পরবর্তী পর্বে প্রদার্পনের তাগিদে ছেদ পরে সংগীতের মঙ্গলকাব্যে। ভাঙ্গে সুরের মূর্ছনা। হলুদরঙ পাখিগুলো যেন নীড়ে না ফেরার সংকল্প ভেঙ্গে আহত হৃদয় নিয়ে আগামীর সমৃদ্ধ শিল্পী সত্তার সঞ্চার ছুঁয়ে বাবা-মা’র হাত ধরে বিফল রথে বাড়ি ফেয়ায় ব্যস্ত হয়ে উঠে। হঠাৎই নিরবতায় ছেয়ে যায় উৎসব অঙ্গনের চারপাশ।