সিএনজি চালক বেশে নিজেই সিএনজি চালিয়ে অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার করেছেন। অ্যাকাউন্ট হ্যাকের টাকা উদ্ধারের সে আলোচিত পুলিশ কর্তা আহলাদ ইবনে জামিল এবার পিপিএম পদকেও ভুষিত হন ।
জানা গেছে , আহলাদ ইবনে জামিল চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার হাইলধর গ্রামে ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আহমদ জমিল মাস্টারের হাত ধরে তার পড়াশোনা শুরু। ২০০৭ সালে তিনি বশিরুজ্জামান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশ করেন। ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করেন। সরকারি মোহাম্মদ মুহসিন কলেজ হতে ২০১৪ সালে স্নাতক এবং ২০১৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৭ সালে এলএলবিতে ভর্তি হন। ২০২১ সালে এই কোর্সটি সম্পন্ন করেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তার ভাইয়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও সময় দিতেন। ছোটবেলা থেকেই কাজের প্রতি তার অদম্য স্পৃহা ছিল। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এসআই পদে যোগদান করেন। সফলতার সাথে প্রশিক্ষণ শেষে সিএমপির বন্দর থানা ও সিএমপি’ ডিবিতে অত্যন্ত সুনামের সহিত কাজ করেন।
বর্তমানে তিনি সিএমপির ডবলমুরিং মডেল থানায় কর্মরত আছেন। ৫ বছরের চাকুরী জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্তসহ ক্রাইম কন্ট্রোল, ক্রাইম ডিটেকশন করেছেন। ২০২৩ সালেই তিনি ভালো কাজে স্বীকৃতি স্বরূপ ৯ বার সিএমপির পুলিশ কমিশনার হতে পুরস্কার পান। যার মধ্যে সিএনজি চালক বেশে নিজেই সিএনজি চালিয়ে অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার এবং ভিক্টিম উদ্ধার, চুরি হওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে ৩০,০০,০০০/= টাকা উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতার, আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) এনালাইসিস এর মাধ্যমে হ্যাকার গ্রেপ্তার এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হাতিয়ে নেওয়া ১৮,৫০,০০০/= টাকা উদ্ধার (যা হ্যাকার কর্তৃক ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ১৫,৬৪৩ ডলারে পরিবর্তন করে নেয়), তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চোরাই গাড়ি উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতার অন্যতম।
এ ছাড়াও তিনি অসংখ্য চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, চোরাই মালামাল উদ্ধার, অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ অসংখ্য ছিনতাই মামলার রহস্য উৎঘাটন করেন। এসব সাহসী, বীরত্বপূর্ণ এবং সৃজনশীল কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসিকতায় ভূষিত হন।