আনোয়ারা প্রতিনিধি
মধ্যযুগীয় কায়দায় বাড়িঘর ভাংচুর করে ঘরের বাসিন্দাদের নির্যাতন, মারধর করে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
আনোয়ারা উপজেলার ১নং বৈরাগ ইউনিয়ন এর গুয়াপঞ্চক গ্রামে ৫নং ওয়ার্ডের রিনা আক্তার (২৭) গত ৬ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) ২০২৪ তারিখে আনোয়ারা সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে এমন তথ্য প্রদান করেন। অভিযোগে স্বর্ণালংকার লুটপাট, বাড়িঘর, আসবাবপত্র ভাংচুরসহ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রিনা আক্তার (২৭)। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন অভিযুক্ত মহিদুল আলম শাহ (৪৫), লাকি আক্তার (২৮), বাচা মিয়া শাহ (৬০), ফাহিম শাহ (২০), ইসমাইল, ইলিয়াছসহ অজ্ঞাত ১০/১৫জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল ৬ তারিখ আনুমানিক সকাল ৮ টার সময় এসে আমার ঘর থেকে আমার মা, সন্তান, ছোট বোন, ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আমার গায়ের ওরনা দিয়ে আমাকে গলায় ফাঁস দিয়ে টেনে হিচড়ে দোতালা থেকে নিচে ফেলে দেয়। হামলায় আমি (রিনা) সহ আমার অবুঝ মেয়ে সন্তান, আমার মা,ভাই-বোন সবাই আহত হই। কেনো এই হামলা- এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী রিনা আক্তার (২৭) বলেন, অভিযুক্ত মহিদুল আলম শাহ (৪৫) হঠাৎ করে দাবী করছেন আমার স্বামীর কাছ থেকে আমার বসতঘরসহ জমি ক্রয় করেছেন তিনি। তবে বসতবাড়ি ক্রয় করেছেন এমন কোনো ধরনের দলিলপত্র আমাকে দেখাতে পারেনি মহিদুল আলম শাহ। আমি আমার জায়গা থেকে সরে যাবো না বলায় আমাকে বিভিন্ন মারফতে কয়েকমাস যাবৎ হুমকি-ধামকি সহ প্রাণে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে মহিদুল আলম শাহ ও তার অনুসারীরা। এমন পরিস্থিতিতে আমি চট্টগ্রামের পটিয়া আদালতে প্রতিকার চেয়ে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত ২৩/১/২০২৪ইং তারিখে অভিযুক্ত মহিদুল আলম শাহ’কে কারণ দর্শাইবার নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু তিনি আদালতের রায় অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে আমার থাকার টিনশেড ঘর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে দেয়। বর্তমানে আমি আমার জায়গার খাজনা, বিদ্যুৎ বিল নিজের নামে পরিশোধ করে আসছি। হামলা হওয়ার আশংঙ্কা করতে পেরে ভুক্তভোগী রিনা আক্তার চট্টগ্রাম চীফ ৪র্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সদর চট্টগ্রামে একটি ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৪ ধারামতে বিশেষ ডায়রী করেছিলেন। যার ডায়রী নং ২৬০/২০২৪ তারিখ ২৮/০১/২০২৪ইং। ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজন কথা বলতে রাজি হননি, তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, মহিদুল আলম শাহ প্রকাশ মধু যা করেছেন তা ভালো করেন নি।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী রিনা আক্তারের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় আনোয়ারা সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ এর সাথে। তিনি জানান, অভিযোগপত্রটি পেয়েছি এবং অভিযোগের বিষয়ে ৩দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিতে আনোয়ারা থানাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর আইনী সহায়তা যদি মনোভূত না হয় সেক্ষেত্রে আমি নিজে তদারকি করবো। এই ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী রিনা আক্তার শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা কামনা করেছেন।ম্যা্যাজিষ্ট্রেট আদালত সদর চট্টগ্রামে একটি ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৪ ধারামতে বিশেষ ডায়রী করেছিলেন। যার ডায়রী নং ২৬০/২০২৪ তারিখ ২৮/০১/২০২৪ইং। ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজন কথা বলতে রাজি হননি তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, মহিদুল আলম শাহ প্রকাশ মধু যা করেছেন তা ভালো করেন নি।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী রিনা আক্তারের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় আনোয়ারা সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ এর সাথে, তিনি জানান অভিযোগপত্রটি পেয়েছি এবং অভিযোগের বিষয়ে ৩দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিতে আনোয়ারা থানাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী রিনা আক্তার শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা কামনা করেছেন।