রাজীব দাশ
ডেভেলপার ব্যবসার মাধ্যমে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে নুপুর চৌধুরী (৪৫) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী রাতে নগরীর নগরীর পাথরঘাটার ভাড়া বাসা থেকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ওবায়দুল হক গ্রেপ্তারের বিষয়টি পাঠক নিউজ ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রতারিত এক নারীর মামলার প্রেক্ষিতে পাথরঘাটার একটি বাসা থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির প্রতারণার অভিযোগে নুপুর চৌধুরী নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ জান্নাতুল ফেরদৌস (৫৫) নামে এক নারী গত ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে নুপুর চৌধুরী (৪৫), পিতা-দিলীপ চৌধুরী, ৮৭ এসএম টাওয়ার, ২য় তলা, ইকবাল রোড, পাথরঘাটা, থানা-কোতোয়ালীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় প্রতারণার মামলা করেন।
প্রতারণার শিকার ও মামলার বাদীর জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আসামী নুপুর চৌধুরী আমার ছেলে শামসুল হক সোহেল এর পূর্ব পরিচিত। পরিচয়ের সুবাধে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারী জামালখান এলাকায় নির্মিত “চৌধুরী এক্সিলেন্ট” নামক ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রয় করবে বলে জানালে তার সাথে আমার ছেলের কথাবার্তা হয়। একপর্যায়ে ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী এপার্টম্যান্ট বিক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তিনামা সম্পাদন করে। চুক্তিনামা অনুযায়ী “চৌধুরী এক্সিলেন্ট” ভবনের ৫ম তলার ১০৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে মোতাবেক আমি ও আমার ছেলে ফ্ল্যাট বুকিং বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা প্রদান করি। চুক্তি মোতাবেক ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ ইং ৩১/১২/২০১৫ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করে ফ্ল্যাটের স্বত্ব বুঝিয়ে দিবে মর্মে জানায়। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে না পারে তাহলে আমার ছেলেকে ১ম বছরে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় বছর হতে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা হারে বাসা ভাড়া প্রদান করবে মর্মে চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে ভবনের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পুনরায় আমি ও আমার ছেলে অফিসে গিয়ে নুপুর চৌধুরীকে আরও ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। অবশিষ্ট ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে ভূমির মালিকের সাথে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক ফ্ল্যাট বুঝাইয়া দেওয়ার পর পরিশোধ করা হবে মর্মে চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও অদ্যাবধি পর্যন্ত নুপুর চৌধুরী আমার ছেলেকে ফ্ল্যাট কিংবা মাসিক ভাড়া বুঝিয়ে না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়।
ফ্ল্যাট বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সে আজ দিবে কাল দিবে বলে দীর্ঘদিন যাবত কালক্ষেপন ও নানা অজুহাতে তালবাহানা করতে থাকে।
গত ২০ জানুয়ারী জামালখান “চৌধুরী এক্সিলেন্ট” ভবনের সামনে নুপুর চৌধুরীকে আমার ছেলের নিকট বিক্রিত ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে বললে সে আমাকে কিসের ফ্ল্যাট বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং আমার ছেলের সাথে ফ্ল্যাট বিক্রয় সংক্রান্তে চুক্তিনামা সহ টাকা লেনদেনের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।