আনোয়ারা বারশত কালীবাড়ী এলাকার একটি কওমী প্রাইভেট মাদ্রাসার শিক্ষকের কক্ষ থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার ১৯ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় দারুত তাহফিজ বালক-বালিকা মডেল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। মুহাম্মদ ওমাইর (১০) নামের ওই এই মাদ্রসার পরিচালক আবদুর রহমানের আপন বড় বোনের ছেলে। শিক্ষার্থী ওমাইর উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল মাইজপাড়া মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, চারতলা বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ভাড়া নিয়ে ৫ জন হুজুর মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছিল। দ্বিতীয় তলায় বালিকা তৃতীয় তলায় বালক শিক্ষার্থীরা রয়েছে।হাফেজ আবদুর রহমান, হাফেজ নিজাম উদ্দিন, হাফেজ আনোয়ার শাহ, হাফেজ রকিবুল্লাহ ও হাফেজ ইমরান উদ্দিন এই মাদ্রসায় শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। হাফেজ ইমরান উদ্দিন ছুটি থাকা অবস্থায় তার কক্ষে এই ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটে।হাফেজ আবদুর রহমান ও হাফেজ রকিবুল্লাহ এর বাড়ী আনোয়ারা এবং অন্য ৩জনের বাড়ী কক্সবাজার বলে জানা গেছে।মাদ্রাসা থেকে সিসিটিভির একটি ভিডিও ফোটেজও পাওয়া গেছে।
মাদ্রসা পরিচালক হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাটিতে ৮৫ থেকে ৯০ জন মতো শিক্ষার্থী রয়েছে।এক সপ্তাহ আগে সে এখানে ভর্তি হয়, সকালে সে সবার সাথে নাস্তাও করেছে, এরপর ১০ টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষকের কক্ষের জানালার সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় ওই কক্ষে কেউ ছিলনা, পরে আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পুলিশকে খবর দিয়।
শিশুটির কেন আত্মহত্যা করেছে কোন কারণ জানা যায়নি।হাফেজ আবদুর রহমান ও হাফেজ ইমরান উদ্দিন সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তাদের বক্তব্য এলোমেলো পাওয়া যায়। সামনে সামনি কথা বলার কথা বললেও তারা আসবেও বলে আসেনি ।গুরুতর কোন কারণ ছাড়াই একটি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হতে পারে এমন কথা সচেতন লোকজন বিশ্বাস করছে না। নিষিদ্ধ পণ্যের একটি দৃশ্য শিশুটি দেখার কারণে তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে একটি মহল ধারণা করছে।বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত বলে স্হানীয় লোকজন দাবী করছে।
এদিকে মাদ্রসার মালিক আবদুর রহমান বলেন স্হানীয় কতিপয় লোকজন তাদের শত্রু রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।