সরকার পতনের একদফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সভা-সমাবেশের মত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলো বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ২৮ অক্টোবর পরবর্তী পরিস্থিতিতে হরতাল-অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দেয় দলগুলো। ১১ দফায় ২২দিন অবরোধ আর ৪ দফায় ৫দিন হরতাল দিয়ে নির্বাচনের ঠিক ১৭দিন আগে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলো মাঠের বিরোধীদল বিএনপি ও তার মিত্ররা।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এসময় বক্তারা সরকারের একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে সাধারণ মানুষকে ৭ জানুয়ারি ভোটবর্জনের আহ্বান জানান।
বাধা দিয়ে গ্রেফতার করে আন্দোলন থামানো যাবে না হুঁশিয়ারি করে ভোট বর্জনের অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান যুগপতের শরিকরা।
এদিকে, ভোট বর্জন করে দেশের মানুষের স্বার্থে সরকারকে সবক্ষেত্রে অসহযোগিতা করতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি। অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। কারা এমপি হবেন তা সবাই জানে, সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।’
এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সকল প্রকার অসযোগিতা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর, খাজনা, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেয়া বন্ধ রাখুন। ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।’
দলীয় নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে গ্রেফতার-আটকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলারও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির হাই কমান্ড।