পাহাড়তলী থানার ক্যাশিয়ার মাসুদ , ডিবির বেলাল ও বিএসটিআই এর মোস্তাকের আশ্রয়ে চলছে কয়েল ফ্যাক্টরী
বিশেষ প্রতিনিধি
পরিবেশের ছাড়পত্র নেই , নেই বিএসটিআই’র অনুমোদন তবু বাঁধাহীন ভাবে বিষাক্ত দ্রব্য দিয়ে তৈরী হচ্ছে পাহাড়তলীতে মশার কয়েল । দেশের নামদামী সব ব্র্যান্ডের কয়েল এই কারখানায় প্যাকেজ জাত করা হয়। পাতাবাহার, নিমপাতা ও ম্যাক্স প্যাকেট সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে এখানে দেখা গেছে। চট্রগ্রামের পাহাড়তলী রাজমনি ঘাট ভূমি অফিসের সামনে সাড়ে তিন গণ্ডা জায়াগায় মশার কয়েল তৈরীর এই কারখানা ।ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগণ রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে বলে স্হানীয় সুত্র দাবী করছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ বিধ্বংশী এই মশার কয়েল কারখানার মালিক রয়েছেন বিত্তশালী কতিপয় ব্যাক্তি । ওহাব নামক এক ব্যাক্তি এটি পরিচালনা করে থাকে। ওহাব সুত্রে জানা গেছে, পাহাড়তলী থানার ক্যাশিয়ার মাসুদ , ডিবির বেলাল ও বিএসটিআই এর মোস্তাকের আশ্রয়ে চলছে এই কয়েল ফ্যাক্টরী । মাসুদ, বেলাল ও মোস্তাকের সাথে রয়েছে ওহাবের গলায় গলায় ভাব। তাদের সাথে জনৈক প্রিণ্টিং ব্যবসায়ীও রয়েছে ।ওই প্রিণ্টিং ব্যবসায়ীকে লোভে ফেলে এই দুনম্বরী ব্যবসায় নিয়ে এসেছে ওহাব। মাসুদ, বেলাল ও মোস্তাকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ এন্তার অভিযোগ রয়েছে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কারখানাতে রয়েছে বিষাক্ত ক্যামিকেলের মওজুদ, মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর ক্যামিকেল ব্যবহার করে অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে মেয়ে দিয়ে রাত দিন কয়েল তৈরী এবং একই কয়েল বিভিন্ন কোম্পানীর নামে প্যাকেট করে বাজারজাত করে চলছে অসাধু ও অধিক মোনাফালোভী মালিক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াব মিয়া। পাতা বাহার, নিম পাতা, মেক্স ও সুপার কিং এর মজুদ দেখা গেছে এই কারখানায়।
এ বিষয়ে এলাকার উপস্থিত লোকদের সাথে কথা বলে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন- সরকার দলীয় লোকজনও গোপনে এখানে জড়িত ।এদের কারণে ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে । ক্লীন ইমেজের রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা এসব অপকর্মকারীদের শাস্তি দাবী করেন বিভিন্নভাবে ।
কারখানার বিষাক্ত ক্যামিকেলের গন্ধে হাঁপানী, এ্যজমাসহ নানান রোগের প্রাদূভার্ব ঘটে এখানে।অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও রয়েছে এখানে।
এসব বিষয়ে কারখানার পরিচালক আবদুল ওহাবের মুঠোফোনে কল করলে ক্ষিপ্ত সূরে তিনি বলেন সব ম্যানেজ করে এই কারখানা চালাচ্ছি ।আপনার সাথেও দেখা করব ।