পতেঙ্গায় ট্রাফিক পুলিশ , বিআরটিএ ও মাদকনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঘুমে !
পতেঙ্গায় নিত্যদিন যানজট লেগেই আছে। অবৈধ এইচ পাওয়ার ও বিদ্যুৎ খেেকো টমটম ও অটােরিক্সার অবাধ বিচরণ ভুমি পতেঙ্গার মহাসড়ক ও অলি – গলি । গ্রামীন সিএনজিও চলে টোকেনের জোরে ।এসব গাড়ীগুলো চালানোর জন্য কয়েকজন মিলে একটি সিণ্ডিকেট করেছে এখানে। এই সিণ্ডিকেট পরিচালনা করে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জনৈক শাহাবুদ্দিন । এই শাহাবুদ্দিনের ইশারায় পতেঙ্গার টিআই সুশোভন চাকমা ট্রাফিক ব্যবস্হা চালায়।শাহাবুদ্দিন থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নেয় টিআই সুশোভন চাকমা এই অভিযোগ স্হানীয় পতেঙ্গাবাসীর। ফলে অবৈধ গাড়ীর আস্তানা গড়ে উঠেছে এই পতেঙ্গায়।
জানা গেছে, ৩ শতাধিক ‘এইচ পাওয়ার’ চলে কাঠগড় টু বীচ পর্যন্ত মহা সড়কে । পতেঙ্গার বিভিন্ন অলি গলিতে বিভাটেক, বিদ্যুৎ খেেকো টমটম চলে ৫শতের অধিক।গ্রামীন সিএনজিও আছে এখানে।শাহাবুদ্দিনের একক নিয়ন্ত্রিত এইচ পাওয়ারে মাদকের চালান যায় নিবিঘ্নে।মাদকের চালানের বিষয়টি শাহাবুদ্দিন ও কয়েকজন ড্রাইভার ছাড়া অন্যরা জানে না।এমনকি টিআই সুশোভন চাকমার কাছেও বিষয়টি অজানা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র দাবী করেছে।ওই সুত্রমতে, কতিপয় ড্রাইভার মাদক চালানের খবর অনেক সময় শাহাবুদ্দিনকেও ফাঁকি দেয়।মাদকের মধ্যে ইয়াবা, গাঁজা, বাংলা মদ ও বিদেশী বিয়ার রয়েছে।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই লাইনে নতুন কোন মালিক এইচ পাওয়ার চালাতে গেলে শাহাবুদ্দিনের সাথে আপোষ করতে হয়।প্রতিটি গাড়ীর জন্য এককালীন দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা ও মাসে মাসে দিতে হয় ৭ হাজার টাকা। প্রতি সড়ক ও অলি গলি রোড থেকে টিআইকে মাসোহারা দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা।
পতেঙ্গা এলাকায় সবসময় যানজট লেগে থাকে।মাদকের উৎপাতও বেড়ে চলছে ।স্হানীয় অধিবাসী ও পর্যটকেরা হয়রাণী ও অসহ্য যণ্ত্রণায় দিন যাপন করছে। এই বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও আইনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এডভোকেট ফয়েজুর রহমান বেলাল বলেন অবৈধ ও অননুমোদিত গাড়ী চলাচল বন্ধ করতে হবে।মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা টিম সক্রিয় হলেও মাদক চালান রোধ করা যায়।সাংবাদিকেরা এসব গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করলে সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণ হবে।
এই বিষয়ে পতেঙ্গার টিআই সুশোভন চাকমার বক্তব্য জানার জন্য বার বার ফোন করলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় কিছুই জানা যায়নি।
সিণ্ডিকেটের প্রধান শাহাবুদ্দিন থেকে জানতে চাইলে তিনি হোয়াটস আপে লিখে দেন ‘আপনি পাগল নাকি ? আমাকে বলে লাভ কি আপনি আপনার হাতে তথ্য আছে আপনি নিউজ করে দেন আপনি আমাকে বলবেন ১০০০০ টাকা দেন নাইলে নিউজ করে দিব সেটাইতো বলবেন।’ এই বলে তিনি ঘটনার বিষয়টি এড়িয়ে যান।