সরকারের দুরদর্শী পরিকল্পনা , দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যাবস্হার আমুল পরিবর্তনে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত
জসিম উদ্দীন চৌধুরী
বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্হায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরী, কার্যকরি কমিটির চেয়ারম্যান ডাক্তার শেখ শফিউল আজম, স্হায়ী পরিষদের সহ সভাপতি এস এম নুরুল হক ও মহাসচিব আলহাজ্ব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর সংবাদপত্রে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন চট্টগ্রামকে ওয়ান সিটি টু টাউনের পরিণত করতে কর্ণফুলি নদীতে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু ট্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। টানেলের কারণে দেশের পূর্ব দক্ষিণ অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেল সরকারের একটি দুরদর্শী উন্নয়ন। এটি দেশের যোগাযোগ, অর্থনীতি, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান পরিবর্তনসহ বহুমাত্রিক পরিবর্তন আনবে।
কিন্তু প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রয়োজনীয় সুফল পেতে দুই প্রান্তের অবকাঠামোগত আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। টানেলের শহরের প্রান্তে পতেঙ্গা হতে মীরসরাই পর্যন্ত অতি দ্রুত রিং রোড সম্প্রসারিত করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা এবং আনোয়ারা থানার বৈরাগ হতে বাঁশখালী হয়ে মহেশখালি মাতারবাড়ি পর্যন্ত আট লেনের সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং কক্সবাজার টেকনাফ পর্যন্ত রিং রোড নির্মাণ করা হয়। পক্ষান্তরে, টানেলের রোডে আনোয়ার বৈরাগ হতে কালাবিবি দীঘি পর্যন্ত সাধারণ পথচারি চলাচলে ফুটপাত নির্মাণ করাও জরুরি।
অন্যদিকে, পতেঙ্গা-লালখান বাজার নির্মাণাধীন এক্সপ্রেস ওয়ের যেখানে যেখানে র্যাম্প নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে, সেগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করা এবং দ্রুত শেষ করা। একই সঙ্গে পতেঙ্গা রিং রোডের সংযোগ সড়ক হালিশহর বড়পুল হতে মুনির নগর পর্যন্ত ছয় লেনের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এ সব অবকাঠামোগত উন্নয়ন যত দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, দেশের প্রথম টানেলের সুফলও বেশি মিলবে।
আমরা মনে করি, টানেলের বহুমাত্রিক সুফল পেতে হলে কিছু বিষয় যোগ করা প্রয়োজন। এর মধ্যে আছে, দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের সঙ্গে টানেলের সরাসরি সংযোগটা সমৃদ্ধ করা। এ জন্য প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর থেকে সীতাকুণ্ড-ফৌজদার হাট-পতেঙ্গা রিং রোড হয়ে সরাসরি টানেলের সঙ্গে সংযোগ করে দেয়া। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর থেকে উৎপাদিত পণ্য টানেল ব্যবহার করে কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে দ্রুত চলে যেতে পারবে। তাছাড়া, দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা সিইউএফএল ঘাট থেকে যানবাহন বাঁশখালী-মগনামাঘাট-চকরিয়া হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত যাওয়া। তাছাড়া, দক্ষিণ চট্টগ্রামে এখন কেইপিজেড ও চীনা ইকোনমিক জোন আছে। আগামীতে আরও শিল্প এলাকা গড়ে উঠবে। সেখানে অনেক শিল্পায়নের অবারিত সুযোগ আছে। তখন শহর বিস্তৃত হবে। তাতে সমৃদ্ধ হবে অর্থনীতি। কিন্তু এসব সমৃদ্ধি আনতে হলে টালের সঙ্গে সম্পৃক্ত সড়কগুলোকেও উন্নত ও সম্প্রসারণ করতে হবে। তাহলেই টানেলের শতভাগ সুফল মিলবে।