৩০ ফুট উচু অথবা ২০ মিটার ভূমিকম্পেও কোন ঝুঁকি নেই চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেলে। নিরাপদ যাত্রায় কোন ত্রুটি রাখা হয়নি। ফ্লাডগেইট থাকায় টানেলে যেমন পানি প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই, তেমনি ২০ মিটারের নিচে ভূমিকম্পে কোনো কম্পন অনুভূত হবে না। বিশ্বমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে টানেল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
সূত্র বলছে, ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০-৩০ ফুট এবং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ১২-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের ঘটনার সঙ্গে প্রায় পরিচিত চট্টগ্রামবাসী। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি টানেল অবস্থিত হওয়ায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসে পানি ঢুকে কর্ণফুলী টানেল প্লাবিত হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নও রয়েছে জনমনে। তবে বিশ্বমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে টানেল প্রস্তুত হওয়ায় কোনো রকম ঝুঁকির আশঙ্কা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘টানেলের দুটি টিউবের দুই প্রান্তেই রয়েছে ফ্লাডগেইট। ম্যানুয়ালি ২০ মিনিটের মধ্যেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। ফ্লাডগেইটটি এমনভাবে প্রস্তুত করা; যা দিয়ে পানি ঢোকার নেই কোনো সুযোগ।’
প্রকল্প পরিচালকের দাবি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস কিংবা বড় কোনো ধরনের ভূমিকম্পে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অনেক বেশি নিরাপদ।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, ‘টানেলে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ৮০ মিটার পর পর রয়েছে জরুরি ভিত্তিতে বের হওয়ার ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে টানেলের ৫০০ থেকে ৬০০ মিটারের মধ্যে তিনটি ক্রস প্যাসেজ আছে। যার মাধ্যমে একটি থেকে আরেকটিতে দ্রুত চলে যাওয়া যাবে। বিশ্বমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আধুনিক নির্মাণশৈলী ব্যবহার করেই টানেল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকছে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে সংযোগ সড়ক থাকছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু। আগামী ২৮ অক্টোবর টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সুত্র সময় সংবাদ ও সিভয়েস