সন্দ্বীপ প্রতিনিধি
সন্দ্বীপ থানার সারিকাইত ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডে কালিরচরে ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ৫টায় নদীতে খসকি জাল বসাকে কেন্দ্র করে ১১০/১৩০ জন জলদস্যু বেআইনি ভাবে জনতাবদ্ধে হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা ও সাধারণ উদ্দেশ্য সরকারি কর্মচারিদের এবং প্রতিপ্রক্ষকে হত্যার উদ্দেশে গুরুতর জখম করে বলে খবর পাওয়া যায়।
জানা গেছে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর অনুমানিক ২.৩০ ঘটিকায় কালিরচরে মৎস্য অফিসার সহ ডিউটি করা কালীন সময়ে ইঞ্জিন চালিত বোট চরের বালিতে আটকে যায়। তখন নদীতে ভাটা ছিল, বোটের মাঝি জানিয়েছিল নদীতে জোয়ার না হওয়া পর্যন্ত বোট চালানো যাবে না, জোয়ার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন অবৈধ স্হায়ী স্হাপনা জালের খুটি কেটে উচ্ছেদ অভিযান করছিল কোষ্টগার্ড, অনুমানিক ৬.৩০ মিনিটের সময় চরের পূর্ব দিকে একদল জলদস্যু ৬০/৭০ জন মিলিত হয়ে পশ্চিম দিক হতে ৫০/৬০ জন জলদস্যু দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে নদীতে খসকী জাল বসাকে কেন্দ্র করে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট ও গোলাগুলি করে বলে কোস্ট গার্ডের সূত্রে জানান তাদের আত্নচিৎকার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আগাইয়া গেলে একপর্যায়ে অজ্ঞতনামা জলদস্যুরা দুর থেকে কাঁদা ও বালিযুক্ত মরিচের গুঁড়া কোস্টগার্ডের উপর নিক্ষেপ করতে থাকে, এ সময় অজ্ঞতনামা জলদস্যুদের হাতে থাকা দা রামধা বন্দুক, অনন্য দেশী অস্ত্র নিয়ে কোস্টগার্ডের উপর নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে উপজেলা মৎস্য অফিসার সহ আজগর আলী এম রায়হান সহ উভয়ে কোস্টগার্ডের সদস্য সারিকাইত কে লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মেরে আঘাত করে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্হানে ফুলা জঘম করে এতে আত্মরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কোস্ট গার্ডের রাইফেল হতে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি আকাশের দিকে ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, অজ্ঞাত নামা জলদস্যুরা ছত্র বঙ্গ হয়ে চতুর দিকে সরে যায়, পরবর্তী কোস্ট গার্ড অনুমান ১০০ গজ পশ্চিম দিকে দেখতে পায়, ইসমাইল (২০) পিতা মৃত আবদুর রহিম, মাতা রেজিয়া বেগম, স্ত্রী – ফারহানা বেগম, সাং চর আলাউদ্দীন ইউনিয়ন, আক্তার মিয়ার হাট, নুর হোসেন (৩৩) পিতা মোস্তফা – মাতা রেশমা খাতুন, সাং রেনু মিয়ার বাজার, আবদুর রহমান (৩৫) পিতা নাসির উদ্দীন, সাং পূর্ব চরভাটা। মোঃ রাজু (২৫) পিতা রেজাউল হক, সাং রেনু মিয়ার বাজার, সর্ব থানা জব্বার জেলা নোয়াখালী, গুলিবিদ্ধ ও কাটা রক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, তখন তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞেসাবাদ করলে উপর উল্লেখিত ঠিকানা পাওয়া যায়। এবং তারা প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে বলে জানায়। কোস্ট গার্ড তখন উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করে, তাদের জানানোর পরে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সো নিয়ে আসলে রাত ২ টায় কতব্যরত ডাক্তার জানান আবদুর রহমান( ৩৫) ও মোঃ রাজু( ২৫) মৃত বলে ঘোষণা করে। ইসমাইল( ২০) নুর হোসেন (৩৩) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সন্দ্বীপ চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে মৎস্য অফিসার ও কোস্ট গার্ড আলাপ আলোচনা করে সন্দ্বীপ থানায় ১১০/১৩০ জন কে অজ্ঞাত আসামি করে কোস্ট গার্ডের কন্টিজেন্ড অফিসার মহিউদ্দিন সর্দার।
ফৌজদারি অপরাধ আইনে দন্ড বিধি ১৪৩/১৪৭/১৪৯/৩৩২/৩৫৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০৭ ধারায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে নিহতদের ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।