1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
চোখের চিকিৎসা করাতে হিমশিম সাংবাদিক বাবা, দৃষ্টি ফিরে পেতে চাই মেয়ে - পূর্ব বাংলা
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কমিটি গঠন মতিয়ার সভাপতি হাফিজুর সম্পাদক অলিউর রহমান মেরাজ কিন্ডারগার্টেন বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক, সাংবাদিক- সম্পাদক একে এম মকছুদ আহমেদ স্বরণে জয়নাল আবেদীন মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মানপ্রদ আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক ১৩ তম রাফি স্মৃতি টি-টুয়েন্টি গোল্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’২৫ ফাইনাল খেলা সম্পন্ন ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা

চোখের চিকিৎসা করাতে হিমশিম সাংবাদিক বাবা, দৃষ্টি ফিরে পেতে চাই মেয়ে

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৫৩ বার পড়া হয়েছে

 রাশেদুল ইসলাম
যে বয়সে অন্য সবার মতো খেলাধুলা আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করার কথা, সেই বয়সে অধরা মজুমদার (১৬) চোখের মারাত্বক সমস্যায় ভুগছে। ডান চোখ বন্ধ নিয়ে জন্ম অধরা মজুমদারের। ছয় বছর পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডান চোখের দৃষ্টি ফিরে পেলেও আবারও দেখা দিয়েছে সমস্যা। চিকিৎসা না হলে বাম চোখের দৃষ্টিও হারিয়ে যেতে পারে যে কোনো দিন। মেয়েকে সুস্থ করতে সহায় সম্বল শেষ করে অসহায় বাবা-মা এখন দিশেহারা। বর্তমানে অর্থাভাবে থেমে গেছে অধরার চিকিৎসা। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা রিপন মজুমদারের একমাত্র মেয়ে অধরা মজুমদার। সে চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
স্বজনরা জানায়, অধরা মজুমদারের জন্মের পর থেকে তার ডান চোখ বন্ধ ছিল। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জন্মের সাত বছর পর ২০১৩ সালে অপারশন করলে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় সে। ২০১৬ সালে ঠিক সেই চোখে আবার সমস্যা দেখা দিলে বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অসহায় বাবা রিপন মজুমদার। কিন্তু দীর্ঘদিনের চিকিৎসা করেও কোনো সুফল মেলেনি। চিকিৎসার খরচ দিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন তিনি। চলতি বছর অধরার চোখের যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। ভারতে গিয়ে এই চিকিৎসা করাতে খরচ পড়বে ৫-৬ লাখ টাকা। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন ও উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারলে যেকোনো মুহূর্তে অন্য চোখটিরও দৃষ্টিশক্তি চলে যেতে পারে। অধরার বাবা রিপন মজুমদার বলেন, আমি দীর্ঘ ৩১বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি। অসংখ্য অসহায় মানুষের জন্য নিউজ করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আজ আমিই অসহায় হয়ে সাহায্যের হাত পেতেছি। এক সময় আমার অনেক কিছু ছিল। একমাত্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি নিঃস্ব। আমার মেয়ে যখন চোখের যন্ত্রনায় কান্না করে তখন আমার কষ্টের সীমা থাকে না। আমি অসহায় বাবা হয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, অধরা মজুমদার প্রাক প্রাথমিক থেকেই দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আমার এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সে মেধাবী শিক্ষার্থী। প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ ৫ পেয়েছে। যদি চোখের চিকিৎসা হয় আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আমি চাই সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় অধরার স্বপ্ন পূরণ হবে এবং অসহায় বাবা তার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে পারবেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, সমাজসেবা ৬টা রোগের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে এককালীন সরকারি সহায়তা দিয়ে থাকে। তবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন বিষয়ে সরকারি সহায়তার কোনো সুযোগ নেই। এর বাহিরে সমাজকল্যাণ পরিষদ রয়েছে। সেখানে আবেদন করলে চিকিৎসা খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া যদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয় তাহলে সরকারি সেবার আওতায় আনা যাবে। তবে আমি মনে করি বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এই টাকা কোনো বিষয় না এবং তাদের এগিয়ে আসা উচিত।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla