রাশেদুল ইসলাম
দেখতে মনে হবে খাল কিংবা ছোট পুকুর, বা চাষাবাদ যোগ্য জমি। একবারে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী গ্রামের বরইতলা থেকে মধু মসজিদ সড়কটি। এটি দিয়ে কয়েক মাস আগে চলাচল করতো শত শত মানুষ। কিন্তু কালের ধারাক্রমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই সড়কটি।সড়কের পাশ থেকে কোটি টাকার কৃষি পন্য যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। । বৃহস্পতিবার সকালে উক্ত সড়কে ‘আমাদের দাবি একটাই, নির্বাচনের আগে সড়ক সংস্কার চাই’এই প্রতিপাদ্যে মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকা বাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রায় ১৯৯৭ সালে এটি বেড়িবাঁধ হিসেবে তৈরি হয়েছে। কিন্তু আ.লীগ সরকারের উন্নয়নের ২য় ধাপে (২০১৫সালের আগে) এটি চলিং করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান -এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলতো শতশত গাড়ি। কোম্পানিগঞ্জের সাথে চলাচলের মাধ্যম ছিল এটি কিন্তু কালের ধারাক্রমে চলাচলের অচল হয়ে পড়ছে এই সড়কটি। স্থানীয় মধু মসজিদের সভাপতি – লাল মিয়া সারেং বলেন- আমরা আর কিছু চাই না নির্বাচনের আগে সুবর্ণচরের সড়ক গুলো সংস্কার যে করবে তাকে ভোট দিব।আমরা আওয়ামী লীগ করি। আমরা আওয়ামীলীগের সন্তান। আমাদের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী অনেক বার আশা দিয়েছে। কিন্তু কই কত কাজ করছে?আমরা অতিদ্রুত এটি সংস্কার চাই। যুবলীগ মো. মিলন বলেন- একদিকে প্রধান সড়কের বেহাল দশা। অন্য দিকে আমাদের বরইতলা থেকে কোম্পানিগঞ্জের বর্ডারের বেড়ি দিয়ে চলাচল করতো শতশত গাড়ি।কিন্তু এখন এতোই গাড়ি দুরের কথা মানুষ ও চলাচল করতে পারছে না। গ্রাম ডাক্তার নুর মাওলা বলেন- ঐ দিন আক্তার মিয়ার হাটে বলছে ভাঙা রাস্তা গুলোতে ইট দিয়ে এক সাপ্তাহের মধ্যে সংস্কার করে দিবে। কিন্তু ঐ দিন দেখলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় ওনার নামে প্রশংসা ঝড় উঠেছিল। কিন্তু কই আর তো সংস্কার দেখলাম না। আমরা চাই যেন নির্বাচনের আগে রাস্তা সংস্কার হোক বরইতলা মধু মসজিদের ইমাম সাহাব উদ্দিন জানান- এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত আমার মক্তবে ছাত্র ছাত্রীরা চলাচল করে। তাছাড়া বৃষ্টি হলে একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে এটি।স্কুল কলেজে যেতে অসুবিধা হয় অনেকের আমরা চাই অতিদ্রুত এটি সংস্কার হোক।