ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে অংশ নেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সম্মেলনে বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নেতার অনুপস্থিতির প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
উইলসন সেন্টার থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বিবিসিকে বলেছেন, রাশিয়া এবং চীনা রাষ্ট্রপতিদের অনুপস্থিতি জি২০ নেতাদের পক্ষে ঐক্যমতে পৌঁছানো আরও কঠিন করে তুলতে পারে। এর কারণ হল রাশিয়া এবং চীনের কাছে ছাড় দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক মূলধন এবং কূটনৈতিক ক্ষমতা থাকবে। কিন্তু স্ট্যান্ড-ইন (নেতাদের পক্ষে প্রেরিত) ছাড় বা আপস করার ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আপনি রাশিয়া এবং চীনা পক্ষ থেকে খুব সামান্যই পেতে যাচ্ছেন, যা দিল্লির জন্য কাজগুলোকে কঠিন করে তুলতে পারে।’
ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন তার সময়সূচী খুব ব্যস্ত তবে তিনি সম্ভবত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর মাধ্যমে গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে চান। চলতি বছরের শুরুতে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল সংস্থাটি।
বিশ্লেষকদের মতে, সেই দ্বন্দ্ব সম্ভবত জি২০-তে স্টিকিং পয়েন্ট হবে। রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের পদক্ষেপকে আক্রমণ বা যুদ্ধের পরিবর্তে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে।
রাশিয়াকে এই ধরনের দাবি প্রত্যাহার করতে হবে এমন কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও তারা সম্মত হবে না। চীনের শি জিনপিং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিটি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু এবারের সম্মেলন তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন শি না আসায় তিনি হতাশ এবং ভারত সম্ভবত এটিকে অপমান হিসেবে দেখবে।
চীন রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত বন্ধু। ইউক্রেনে মস্কোর পদক্ষেপের নিন্দা করে এমন কোনো কিছুতেই তারা স্বাক্ষর করতে অনিচ্ছুক। বরং পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে চীন-রাশিয়ার মধ্যে গত বছর ৩০ শতাংশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।সুত্র ইত্তেফাক অনলাইন