অসংখ্য অবৈধ করাত কল চলে পরীক্ষণ স্টেশনে মাসোহারা দিয়ে
বিশেষ প্রতিনিধি
অবৈধ করাত কলের অসাধু মালিকরা হাটহাজারী বীট কাম ষ্টেশন অফিসকে মাসোহারা দিয়ে অবাধে চালাচ্ছে পরিবেশ ধ্বংশী এই কাজ। । বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কোনো ধরনের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই বনবিভাগের যোগসাজশে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক করাত কল (‘স’ মিল)।
স্থানীয় সুত্রমতে, মহাসড়ক , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বনের পাশে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রবিহীন অসংখ্য অবৈধ করাত কল গড়ে উঠেছে।বন আইন অনুযায়ী বনবিভাগের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাত কল (স’মিল) দেয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অথচ ওই আইনের প্রয়োগ নেই এখানে।
মির্জাপুর ইউনিয়ন চারিয়া বাজারের পূর্ব পাশে ঈদগায়ের সামনে বাবুল মেম্বারের একটি করাত কল ও দক্ষিণ পাশে শাহজাহান কোম্পানির একটি। চারিয়া মুছার দোকান এলাকায় সেলিম কোম্পানির একটি। মগ্গেরহাট বাজারের পশ্চিম পাশে কামাল কোম্পানির একটি। পূর্ব পাশে সালাম কোম্পানির একটি। কালী বাড়ির উত্তর পাশে বালুরটাল ওয়াহিদ কোম্পানির একটি।
ধলই ইউনিয়ন এলাকার এনায়েতপুর বাজারের উত্তর পশ্চিম পাশে রমজান মেম্বারের ছোট ভাই এরবান কোম্পানির একটি। পূর্ব পাশে রমজান মেম্বারের আরও একটি। এনায়েতপুর কণ্ডলীআর ঘাটায় আনোয়ার কোম্পানির একটি। পাশাপাশি ব্রিকফিল্ড রাস্তার মাথায় জহুর কোম্পানির একটি। এরপাশে মোহাম্মদ আলী কোম্পানির আরেকটি। সোনাইকুল মহিউদ্দিন কোম্পানির একটি। কাটির হাট বাজারের আগে মাহবুব কোম্পানির একটি। এবং বাজারের পূর্ব পাশে শাহজাহান কোম্পানির একটি।
ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন এলাকার মুহুরী ঘাটায় মঞ্জু মেম্বারের একটি। নোয়াহাট বাজার রাস্তার পূর্ব পাশে এহসান কোম্পানির একটি। পাশাপাশি মনা সওদাগরের আরেকটি। নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথায় আমু কোম্পানির একটি। পাশাপাশি করিমের ভাই রনি’র আরো একটি। নাজিরহাট ব্রিজের দক্ষিণ পাশে হালদার পাড় ইউসুফ চৌধুরী বাড়ি সড়কে মানিক কোম্পানির একটি এবং নাজিরহাট পুরাতন বাজার শামীম কোম্পানির দু’টিসহ পৌরসভার সুবেদার পুকুরপাড়, ইছাপুর, নন্দীরহাট, আমান বাজার, মদুনাঘাট, শিকারপুর ইউনিয়নে রয়েছে বহু অবৈধ করাত কল।
এসব অবৈধ করাত কলের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও বনাঞ্চল এবং সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। করাত কল (স’মিলের) মালিক পক্ষেরা সুকৌশলে মিল চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে রেখেছে। এর মধ্যে এক দপ্তর থেকে অনুমোদন পেলেও অন্য দপ্তর থেকে অনুমোদন দেয় না। অনুমোদন ছাড়াই এভাবেই চলছে স’ মিলগুলো।
এই বিষয়ে হাটহাজারী বীট কাম স্টেশন কর্মকর্তা রাজীব উদ্দিন ইব্রাহিম মোবাইল ফোনে পূর্ব বাংলাকে বলেন আপনাদের উল্লেখিত অধিকাংশ করাত কল আমার আওতার বাইরে। কিছু অননুমোদিত করাত কল থাকতে পারে।অবৈধ কোন করাত কল আমার এরিয়া থাকলে আমি এই বিষয়ে বিহিত ব্যবস্থা নেব।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, করাতকল চালানোর কাগজপত্রের বৈধতা যাচাই বাছাই করা হবে এবং অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে ।