তীব্র যানজট ও দূর্ঘটনা লেগেই আছে নষ্ট হচ্ছে মূল্যমান শ্রম ঘণ্টা
হাটহাজারীতে যানজট ও দূর্ঘটনা লেগেই আছে । বিশৃংখল পরিবেশে রাস্তায় গাড়ী চলাচল করছে। ঝাঁকে ঝাঁকে অবৈধ ও অননুমোদিত গাড়ী চলাচলে কোন বাঁধা নেই।এসব গাড়ী মালিক , চালক হেলপার বুক ফুলিয়ে বলে পুলিশের ক্যাশিয়ারের টোকেন আছে তাদের ।অনৈতিক লেনদেনে সহজে মিলে এই টোকেন । ফলে হাটহাজারীতে টোকেনের বদৌলতে অবৈধ, অনুমোদিত ও চোরাই মালসহ গাড়ী চলাচলে বাঁধা নেই।
রাঙ্গামাটি , খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরে হাটহাজারী হয়ে গাড়ী আসতে হয়। ফলে রাঙ্গামাটি , খাগড়াছড়ির সবকয়টি গাড়ী চলাচলে হাটহাজারী ট্রাফিক পুলিশের নজরে পড়ে। এই কারণে এই দুই জেলা ও ফটিকছড়ির গাড়ীগুলোও হাটহাজারী হয়ে শহরে ঢুকে।পাহাড়ী বাংলা মদ ও চোরাই কাঠ বহনকারী গাড়ীগুলোও এই অঞ্চল হয়ে শহরে ঢুকে ।থানা ও ট্রাফিক পুলিশকে বশে নিয়ে মদ ব্যাপারী ও কাঠ পাচারকারীরা টোকেনের ক্ষমতা বলেই এসব দুই নম্বরী কাজ করে থাকে।
ইতিপূর্বে বড়দিঘীর পাড় এলাকায় পরিচালিত অভিযানে যানজট সৃষ্টিকারী বিভিন্ন যানবাহন মালিককে জরিমানা করা হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহিদুল আলমের নেতৃত্বে অভিযানে সহযোগিতা করেন হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান জামান বাচ্চুসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারগণ।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও দন্ডবিধি ১৮৬০ এর বিভিন্ন ধারায় পাঁচটি মামলায় মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে ডিসিআর মূলে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিদুল আলম বলেন, মহাসড়কে যানজট, দুর্ঘটনা ও অপঘাতে মৃত্যু হ্রাস করতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক স্যারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে হাটহাজারীতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজট সৃষ্টিকারী যানবাহন ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়।
জানা গেছে, হাটহাজারী ট্রাফিকে কর্মরত টিএসআই আমিনুল ইসলাম গাড়ী মালিক, চালক ও হেলপারের পরিচিত মুখ।আমিনুল ইসলাম এসব টোকেন দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে জানার জন্য আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। এই বিষয়ে টিআই বখতেয়ার উদ্দিন বলেন , আমি খবর নিয়ে ব্যবস্হা নেবো।