নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর ইপিজেড থানার অতি সন্নিকটে ব্যাংক কলোনি এলাকায় (শাহ আলম কন্ট্রাক্টর বিল্ডিংয়ে) মা ও মেয়ে এক রশিতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বিল্ডিংয়ের প্রতিবেশীর সূত্রে জানায়, মংগলবার ২৯আগষ্ট সকালে সাড়ে ৭টার দিকে সিইপিজেডস্থ প্যাসিপিক জিন্সে কর্মরত স্বামী মোঃ শাহজাহান (৪০) অফিসে যাওয়ার পর মা ও মেয়ে দুজনেই বাসায় ছিলেন। কিছু সময় পর দরজা বন্ধ করে সিলিংয়ের সাথে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে নিধর দেহ। প্রতিবেশীরা অনেক সময় দরজা বন্ধ দেখে নিকটস্থ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার জানান, পুলিশ টিম থানার নিকটস্থ ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে এক নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে। এ প্রসঙ্গে থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ টিম পাঠিয়ে মা ও মেয়ে দু’জনের মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। নিহতের আত্মীয় স্বজনদের খবর দিয়েছি লাশ সনাক্তর জন্য এবং স্বামীকেও থানায় আনার চেষ্টা করছি। লাশ ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর রহস্য। তবে প্রাথমিক ভাবে বুঝা যাচ্ছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে এরা। নিহতের ভাই মোঃ এরশাদ জানান, তার বোন শাহনাজ আক্তার (৩৩), মেয়ে ইভা আক্তার(৩ বছর) , তাদের গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা থানা, গৌমতি ইউপিতে। তার বোন জামাই মোঃ শাহজাহান প্যাসেফিক জিন্সের লাইন সুপার ভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের সংসারে পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকে। আর তারা দু’জন দু’জনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। ভাই এরশাদ আরও জানান, বোন জামাই শাহজাহানের পরকিয়ার ঘটনা তার পরিবার জেনে যাওয়ার পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বোন শাহনাজ ও শিশু কন্যাকে নিয়ে রাগের মাথায় হয়তো এই ঘটনা ঘটাতে পারে বা অন্য কোন সমস্যা থাকতে পারে। বিষয়টি পুলিশ বা অন্যান্য সদস্যরা ভালো করে তদন্ত করলে পুরো ঘটনাটা জানা যেতে পারে। এ ব্যাপারে ইপিজেড থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার।