জানা গেছে, দুর্নীতিতে দুদক কর্তৃক অভিযুক্ত টিআই কাশেম সল্টগোলা ট্রাফিক বক্সে দায়িত্ব পালনকালে আলোচিত এই সোহেল চা, নাস্তা আনা নেওয়ার কাজ করত। এইসময় বন্দরে প্রবেশরত ট্রাক প্রতি ট্রাফিক পুলিশ ১০০ টাকা করে নিতো । মাঝে মধ্যে পুলিশের হয়ে সোহেলও চাঁদা আদায় করত।তখন থেকেই তার চাদাঁবাজি শুরু।এই সোহেল বর্তমানে বিটেক সোহেল নামে পরিচিত।
সল্টগোলা হতে বাকের আলি ফকিরের টেক পর্যন্ত ১৯০টি ইজিবাইক রয়েছে । এই লাইনে কেউ গাড়ী চালাইতে চাইলে দিতে হয় ৫-১০ হাজার । আবার কলসি দিঘির পাড় হতে আনন্দবাজার ও আনন্দবাজার হতে বড়পোল মোড়, আউটার রিং পর্যন্ত প্রায় ৭ শতাধিক বিটেক রিক্সা কিংবা টমটম গাড়ী চলাচল করে। দৈনিক টমটম/ বিটেক রিক্সা প্রতি গাড়ি ১৫০ টাকা করে সোহেল মাসুম ও ডাঃ মাসুদ কে চাঁদা দিতে হয়। কমপক্ষে প্রতিদিন ৭০০ গুণ ১৫০ = ১,০৫০০০ টাকা শুধুমাত্র টমটম কিংবা বিটেক রিক্সা থেকে চাঁদা আদায় করে।এই হিসেবে মাসে চাঁদা তুলে মাসে ১,০৫০০০ গুণ ৩০= ৩১, ৫০,০০০ টাকা এবং ৩১, ৫০০০০ গুণ ১২= বছরে ৩,৭্৮,০০০০০ টাকা।এ ছাড়া এসব রোডে অবৈধ ও চোরাই ৮০টি গ্রামীন সিএনজি চলে পুলিশী টোকেন। ট্রাক, পিকাপ ও কভারভ্যানতো আছে।আছে মান্দলি সিস্টেমে মেট্রো এলাকার গাড়ীও।
এলাকায় সোহেলকে বিটেক সোহেল নামেই সবাই চিনে । সে দস্তুর মতো চালক ও হেলপারদের স্টিকার ও টোকেন দিয়ে থাকে। এই টোকেন যাতে কোন সাংবাদিক না পায় সেজন্য কড়া নির্দেশ আছে সোহেলের ।তার ভয়ে কেউই এই স্টিকার ও টোকেন কাউকে দেখাতেও ভয় পায়।এসব বিষয়ে তথ্য জানার জন্য তার মুঠোফোন কল করলে সে ফোন রিসিভ না করায় কোন তথ্য জানা যায়নি। সল্টগোলা ট্রাফিক বক্সের দায়িত্বরত টিআই এর ০১৩২০- ০৫৩৫৬৫ নাম্বারে ফোন করলে ফোন রিসিভ না করায় এবং পরে ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এই বিষয়ে হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ ফয়সাল সাহেব বলেন ২দিন আগেও আমি ১০ টি অবৈধ গাড়ী জব্ধ করেছি।বৈধ ও অবৈধ গাড়ী সংক্ষান্ত বিষয়টি বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশ দেখভাল করে । কোন অপরাধ সংগঠিত হলে তখন আমরা হস্তক্ষেপ করে থাকি মাত্র।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উল্লেখিত অবৈধ ও অনুমোদিত গাড়ীগুলো সড়কে অবাধে চলাচলের সুযোগে বৈধ গাড়ীর মালিক চালক ও হেলপারেরা নিরুসাহিত হচ্ছে। ফলে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক দেন লেন বেড়ে সামাজিক অস্হিরতা সৃষ্ঠি হচ্ছে ও ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা নিয়ে টানাটানি চলছে।সড়কসমুহে সকাল ও বিকাল বেলা গার্মেন্টস শুরু ও ছুটির সময় ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে ও হরখামেশা দূর্ঘটনা ঘটে ।বখাটে ও পকেটমার চক্র এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই পথের যাত্রীদের নিত্যদিন ঝুঁকিতে রাখে।
অন্যদিকে চাঁদাবাজ সোহেল দিনদিন অবৈধ লেনদেনে মোটা অংক কামিয়ে ধরাকে জ্ঞান মনে করছে । তার আদায়কৃত চাঁদা টাকার ভাগ ট্রাফিক পুলিশ, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ, গনমাধ্যম কর্মী, স্হানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন ব্যাক্তি ও হোমরা চোমরাও পায় বলে একটি সুত্র জানিয়েছে ।