1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
স্কুল প্রতিষ্ঠার তিন যুগে ও হয়নি পাকা রাস্তা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ - পূর্ব বাংলা
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কমিটি গঠন মতিয়ার সভাপতি হাফিজুর সম্পাদক অলিউর রহমান মেরাজ কিন্ডারগার্টেন বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক, সাংবাদিক- সম্পাদক একে এম মকছুদ আহমেদ স্বরণে জয়নাল আবেদীন মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মানপ্রদ আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক ১৩ তম রাফি স্মৃতি টি-টুয়েন্টি গোল্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’২৫ ফাইনাল খেলা সম্পন্ন ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা

স্কুল প্রতিষ্ঠার তিন যুগে ও হয়নি পাকা রাস্তা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৮১ বার পড়া হয়েছে

ইলিয়াছ সুমন সন্দ্বীপ
স্কুল  প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পার হয়ে গেলেও স্কুলের পাশ দিযে তিনটি রাস্তা  পাকা রাস্তার অভাবে ভোগান্তিতে আছে সন্দ্বীপ  উপজেলার মগধরা  ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মগধরা ফেরিঘাট সরকারি প্রথমিক  বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা ভোগান্তিতে পড়ছে । শুধু তাই নয় পাকা রাস্তার অভাবে এ এলাকার কাঙ্ক্ষিত নাগরিক  সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ।
এ  স্কুলটি স্থাপিত হয় ১৯৮৬ সালে। দীর্ঘ ৩৩ বছরে বিদ্যালয়ের পাশের তিনটি  সড়কে একটি ইটও পড়েনি। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের রাস্তায় হাঁটু সমান কাদা হয়ে যায়। ফলে স্কুলে আসতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।
১৯৮৬ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ  গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা শুকনো মৌসুমে কাঁচা রাস্তায় হেঁটে যাতায়াত করলেও বর্ষা মৌসুমে পড়তে হয় দুর্ভোগে। বছরের ছয় মাস পানি আর কাঁদায় রাস্তাটি হয়ে পড়ে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা রাস্তা উন্নয়নের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও এমপিসহ বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিলেও কোন ফল পায়নি।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৯জন।  ছাত্র ৪৬ ছাত্র ৬৩ জন। শিক্ষক রয়েছে ৬ জন সবার বাড়ি ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার স্কুল থেকে দুরে।  বর্ষা মৌসুমে  প্রতিদিন আশপাশের ৫ টি ওয়ার্ডের  ছাত্রছাত্রীরা এই হাঁটু সমান কাঁদা পার হয়ে লেখাপড়া করতে আসে স্কুলে। এ ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে একটি মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থীও আসা যাওয়া করেন। মগধরা ফেরিঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধা ওমর ফারুক সড়ক, (প্রকাশ মোল্লার গৌ রাস্তা) দক্ষিণ পাশে রয়েছে মান্দির গৌ রাস্তা, ও পেলিশ্যার গৌ রাস্তা। পেলিশ্যার গৌ রাস্তা পেলিশ্যার বাজার থেকে ২ কিলোমিটার দক্ষিণ পর্যন্ত পাকাকরণ করা হয়েছে, পেলিশ্যবাজর ও মগধরা স্কুল এন্ড কলেজে  যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি গত বর্ষায় চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এক কিলোমিটারের একটু বেশি এই রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে। মগধরা ফেরিঘাট স্কুলের আশপাশের প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস প্রতি বছর এখান থেকে মগধরা স্কুল এন্ড কলেজে ২০/২৫ জন ছাত্র ছাত্রী ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে  ভর্তি হয়। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্হা না থাকায় ও রাস্তার দূরাঅবস্থা কারণে তাদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যায়। মগধরা ফেরিঘাট থেকে মগধরা স্কুল এন্ড কলেজ প্রায় ৫ কিলোমিটার। আর এ এক  কিলোমিটার রাস্তা বেড়িবাঁধ হয়ে স্কুল পর্যন্ত পাকাকরণ করা হয় তাহলে এ এলাকায় জনসাধারণ ও স্কুলের শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের জীবন মান উন্নত হবে। এ এলাকার জনসাধারণের জনজীবন বদলে যাবে। শুধু মাত্র উল্লেখ যোগ্য রাস্তা গুলো কাঁচা থাকার কারণে স্কুলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হতে চাচ্ছে না, দিন দিন স্কুলের ছাত্রী কমছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক সড়ক টি যদি পূনাঙ পাকাকরণ করা হয় তাহলে এ স্কুলের ছাত্র ছাত্রী এলাকাবাসী নয় সাবেক মাইটভাংগা ঘাট টি চালু করা সম্ভব তাতে করে দক্ষিণ সন্দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের ও একটি দ্বার উম্মোচন হবে বলেনে মনে সন্দ্বীপ বাসী।
মগধরা ফেরিঘাট বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেণীর ছাত্রী জেরিন ও তানিয়া   বলেন, ‘কষ্ট করে স্কুলে যাওয়া আসা করতে হয়। এখন আর কাদায় হাঁটতে কষ্ট মনে হয় না। প্রতিদিন দুইটি কাপর  নিয়ে স্কুলে আসি, কারণ কাদা দিয়ে হাঁটলে পড়ে গেলে স্কুলে এসে পাল্টাইয়া ফেলি। অনেক সময় স্কুলে আসতেও পারি না।’ স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাবিব  উল্যাহ, আবদুল হামিদ ও সন্তু রায় বলেন এ স্কুল বেড়িবাঁধ নদীর কুলে আমাদের যেখানে দিয়ে আসতে হয় না কেন সব দিকের রাস্তা কাঁচা, বর্ষা মৌসুমে আমরা শিক্ষক কেরা কেউ পেলিশ্যবাজার কেউ মান্দির রাস্তার মাথা আবার কেউ বাংলা বাজার মোটরসাইকেল বাই সাইকেল রেখে স্কুলে হেটে আসতে হয়। যার কারনে অনেক সময় আমরা সঠিক সময়ে স্কুলে আসতে বিলম্ব হয়। তাতে ছাত্র ছাত্রীর পাঠদানে সমস্যা হয়। আমাদের স্কুলের আশপাশের ৩ টি রাস্তার যদি একটি ও স্কুল পর্যন্ত পাকাকরণ করে দেয়। এতে করে শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী ও এলাকা বাসী যেমনি উপকৃত হবে তেমনি এ এলাকার জনসাধারণের  জীবন মান ও বদলে যাবে। আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে রাস্তা গুলি পাকাকরণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla