মাহমুদুল হক আনসারী
রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে দেশ জাতির জন্য হুমকি হিসেবে বেড়ে উঠছে। তাদের অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড স্থানীয় বাঙালী অধিবাসীদের জন্য নিয়মিতভাবে উদ্বেগের কারণ। তাদেরকে যত দ্রæত সম্ভব বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসন করা যাবে ততই এদেশ ও জাতির জন্য সুখের হবে। কক্সবাজার টেকনাফ পুরো অঞ্চলকে তারা কলোষিত করছে। তাদের কাছে স্থানীয় জনগণ অসহায়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে যুবক যুবতী ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের ভয়ে শিশুরা মাঠে খেলতে ভয় পায়।
তাদের আছে ভিন দেশী অস্ত্র। চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। তারা কোনো বাধাই মানছেনা। আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে তাদের সংঘর্ষের সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে। তাদের অপহরণ চক্রকে কোনেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। বর্তমানে হত্যাকান্ড অপহরণ, ধর্ষণ, স্বর্ণ চোরাচালান সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে পুরো ক্যাম্প এখন সক্রিয়। কক্সবাজার সীমান্ত জনপদ টেকনাফে গত ৬ মাসে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে অন্তত ৬২ জনকে। ৪ জুন অপহরণ হয়েছে এলাকার এক ছাত্র মুহাম্মদ হোসাইন সূর্য তারা পরিবারের নিকট ৫০ লাখ টাকা দাবী করে অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। ২ জুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচ রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে। তাদের জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবী করে অপহরণ কারী বা স্থানীয়দের কোনোভাবেই তাদের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা। বেপরোয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রæপ এখন নিয়মিতভাবে আরো তাদের মধ্যে গ্রæপে গ্রæপে ঐক্য হচ্ছে। তারা স্থানীয়দের জন্য যেমন হুমকি তেমনিভাবে প্রশাসনের জন্য ও হুমকি হয়ে উঠছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, রোহিঙ্গাদের বিরাট একটি অংশ প্রতিদিন বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঢুকে পড়ছে। এক শ্রেণীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় তারা সহজে পেয়ে যাচ্ছে জন্ম নিবন্ধ। পাসপোর্ট দালালদের একটি চক্র তাদেরকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কন্টাকে প্রতিনিধি ও দালাল পেশার মানুষে রোহিঙ্গাদেরকে বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে। একটি সূত্র বলেছে, চট্টগ্রামের সিটি এলাকায় অন্তত তাদের ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। তারা এদেশের নাগরিক হয়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। চট্টগ্রামের হালিশহর বি বøক , বহদ্দারহাট, আরাকান সোসাইটি, বোয়ালখালি নানা এলাকার ইসলামিক মাদ্রাসাসহ অনেক স্কুল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে রোহিঙ্গা উদ্বাস্ত এখন বাংলাদেশের নাগরিক সনদ দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত আছে।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে অপরাধ করে বাংলাদেশের মান সম্মান ক্ষুণœ করছে। অপরাধ করছে তারা আর দুর্নাম হচ্ছে বাংলাদেশের। রাজনৈতিক বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাজে লাগাচ্ছে একটি তথাকথিত নামধারী ইসলামী সংগঠন। তারা এদেশে একটি সংঘাত বাঁধাতে চায়। এদেশের শান্তি শৃংখলা উন্নতি অগ্রগতি সহ্য করছেনা। বর্তমান স্থিতিশীল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে চায় কুচক্রি মহল। সামনে জাতীয় নির্বাচন। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুবিধাবাদী মহল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা স্কুল মাদ্রাসায় আশ্রয় দিচ্ছে।
চট্টগ্রামের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তল্লাশী চালালে শত শত রোহিঙ্গা যুবক যুবতী পাওয়া যাবে। কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকায় তাদেরকে সীমাবদ্ধ করে রাখা যাচ্ছেনা। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ তারা মানছেনা। জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের কথা বলে কতিপয় এনজিও রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, তাদের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তদারকি ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের আশ্রয়রে সরকারের উদ্দেশ্যকে ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করছে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল। তাদের তৎপরতাকে কোনো বিদেশী সব ধরনের এনজিও তৎপরতা সাহায্যকারী সংস্থার কর্মকান্ড কঠোরভাবে তদারকী করার দাবী জানাচ্ছি সব কথার মূল কথা। কঠোরভাবে কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখে তাদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া জোরদার ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিবেশী ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রদের অবশ্যই বুঝিয়ে এ সংকট থেকে উত্তোরণের পথ বের করতে হবে। যে কোনো মূল্য রোহিঙ্গাদের অপতৎপরতা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বন্ধ করতে হবে। কোনোভাবেই তাদেরকে নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে যেতে দেয়া যাবেনা। ওই এলাকার স্থানীয় নাগরিকদের জান মাল, জীবন জীবিকার নিশ্চয়তা নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।