নিজস্ব প্রতিবেদক
রেলের পূর্বাঞ্চলে গত অর্থ বছরে নীলনক্সায় রি-টেন্ডার কারসাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ ওঠেছে। প্রথম টেন্ডারে সর্বনিম্ন দর কম থাকলেও পছন্দের ঠিকাদরকে কাজ পাইয়ে দিতে তা বাতিল করে কারসাজির মাধ্যমে উচ্চমূল্যে পণ্য ক্রয়ের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে। টেন্ডার কমিটির সভাপতি ডিরেক্টর অব ইনভেন্টরী কন্ট্রোল (ডিআইসি) প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলামের নির্দেশানায় এমন ১০টি টেন্ডারকে রি-টেন্ডার করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে শতকরা ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ ভাগ ঘুষ আদায়ের অভিযোগ ডিআইসি সহ পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার অনুমোদনকারী ডিভিশনাল সুপারেনটেন্ড(ডিএস/ডব্লিও) তাপস কুমার দাস ও পণ্য গ্রহীতা ওয়ার্কস ম্যানেজার/ক্যারেজ রাশেদ লতিফের বিরুদ্ধে। টেন্ডার সংশ্লিষ্টরা কোটি কোটি টাকা সরবরাহকারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও দুদক কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি অর্থ বছরে রেলের ১০০ এমজি মেরামত প্রকল্পের ক্রয় ও মেরামতের প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে টেন্ডার আর রি-টেন্ডারের মধ্যদিয়ে । টেন্ডার কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাকৃত ও অহেতুক শর্তের কারসাজি চলছে উৎকোচ আদায়ে। এক্ষেত্রে ঠিকাদার বা সরবরাহকারীদের আকস্মিক অযোগ্যতার কারণ সৃষ্টি করে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইলেকট্রনিক গর্ভণমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) প্রক্রিয়াকে কুলষিত করতে এমন চক্রান্ত করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট(সিপিটিউ)’র। অন্যথায় একই টেন্ডার বার বার রি-টেন্ডার করার পেছনে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করা যাবে না এমনকি সরকারের রাজস্ব ক্ষতির দিকে টানছে।
আরো অভিযোগ রয়েছে, গত বছরের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীতে যেসব টেন্ডার ইজিপি’র অনলাইনে ছিল সেসব টেন্ডার নানা অজুহাতে বাতিল করে আবার রি-টেন্ডার হয়ে অনলাইনের লাইভে চলে এসেছে। প্রায় ৩/৬ মাস পর লাইভে আসায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে টেন্ডার কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ২০/২৫টি টেন্ডার ১০০এমজি মেরামত প্রকল্পের আওতায় আসে। এরমধ্যে ১০টি টেন্ডারই আবার রি-টেন্ডারের ঘটনায় সরবরাহকারীদের মাঝে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়া লাখ লাখ টাকার টেন্ডার সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ আটকে রাখার কারনে সরবরাহকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই কারসাজির প্রক্রিয়ায়।
সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের(সিপিটিইউ) ওয়েব সাইটের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, রেলের ১০০এমজি মেরামত প্রকল্পে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে টেন্ডার নিয়ে দফায় দফায় রি-টেন্ডারের খেলা হয়েছে। ডিরেক্টর অব ইনভেন্ট্রি কন্ট্রোল(ডিআইসি) প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম ১০টি রি-টেন্ডারের তালিকা অনলাইনে লাইভ করে কারসাজির বর্হিঃপ্রকাশ ঘটেয়েছেন নোটিস আকারে। সে অনুযায়ী সর্বশেষ গত বছরের ৬ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত এ ১০টি রি-টেন্ডারের ওপেনিং ছিল।
এ ব্যাপারে টেন্ডার কমিটির এক সদস্য বলেন, বিশেষ কিছু কারণে শর্ত দেওয়া হয়। অনেক বিডার না পারলেও টেন্ডারে অংশ নিয়ে টেন্ডারকে ভুন্ডুল করার চেষ্টা করে। এছাড়াও রাজনৈতিক কিছু চাপও আছে যাদের টেন্ডার পাইয়ে দিতে আমাদেরকে এমন শর্ত জুড়ে দিতে হয়। তবে এটা আমার পছন্দ নয় কিন্তু ডিআইসি এসব শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। তবে শর্ত ছাড়াই এসব টেন্ডার কার্যকর করা সম্ভব।
সিপিটিইউ’র আওতাভুক্ত রেল মন্ত্রনালয়ের অধীনে থাকা ১০০এমজি প্রকল্পে কোচ মেরামতের জন্য। প্রথমত, গত বছরের ৯জুন ইলেকট্রিক্যাল আইটেমের ইজিপি টেন্ডার নং-৬৯৯৭১৩ এর ওপেনিং ছিল। এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি এক হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ১২জুন থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন, বিসিক নিবন্ধন সার্টিফিকেট ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা ও ২৫ লাখ টাকার ব্যাংক প্রত্যয়ন, ২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ২০ লাখ টাকার ইলেকট্রিক্যাল পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামা থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছিল টেন্ডার আহবানে।
দ্বিতীয়ত, গত বছরের ৯জুন আরেকটি ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রোল প্যানেল ট্রান্সফরমার ও এমএস সিটসহ নানা আইটেমের ইজিপি টেন্ডার নং-৬৯৯৭১২ এর ওপেনিং ছিল। এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি এক হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ১২জুন থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল।ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন(আইএসও) সনদ, ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন, আইএসও সার্টিফিকেট ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার শর্ত দেওয়া হয়েছিল টেন্ডার বিডারদের।
তৃতীয়ত, গত বছরের ৮জুন ইলেকট্রিক্যাল আইটেমের আরেকটি টেন্ডার ওপেনিং ছিল। ৭০০ ক্যারেজ সিলিং ফ্যান ও ৭০০ এমএস বেস প্লেট ক্রয়ের জন্য এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি দুই হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ১২জুন থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন, বিসিক নিবন্ধন সার্টিফিকেট, আইএসও ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ৭৫ লাখ টাকা ও ৭৫ লাখ টাকার ব্যাংক প্রত্যয়ন, ২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ৫০ লাখ টাকার ইলেকট্রিক্যাল পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামার শর্ত দেওয়া হয়েছিল।
চতুর্থত, গত বছরের ৮জুন ওয়েলডিং ও অগ্নি নির্বাপকসহ নানা আইটেমের ইজিপি টেন্ডার নং- ৬৯৯৭১৮ এর ওপেনিং ছিল। এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি এক হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ৯ জুন থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন(আইএসও) সনদ, ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ২০ লাখ ও ব্যাংক প্রত্যয়ন ১৫ লাখ টাকা থাকলে টেন্ডার সাবমিট করা যাবে না অনলাইনে।
পঞ্চমত, গত বছরের ৭জুন ইস্পাত চ্যানেল ও চেকার্ড প্লেট আইটেমের ইজিপি টেন্ডার নং- ৬৯৯৭১৬ এর ওপেনিং ছিল। এ ক্রয়ের জন্য টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি এক হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ৮ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন, আইএসও ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা ও ২৫ লাখ টাকার ব্যাংক প্রত্যয়ন, ২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ২০ লাখ টাকার লৌহজাত পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামা থাকতে হবে টেন্ডার বিডারদের এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
ষষ্ঠত, গত বছরের ৬ জুন এমজি কোচের এসএস উইন্ডো সাটার বডি ও ডোর সাইড, উইন্ডো কমপ্লিট এবং ল্যাবরেটোরি আইটেমের আরেকটি ইজিপি টেন্ডার নং- ৭০২০০৮ এর ওপেনিং ছিল। বিভিন্ন আইটেমের স্টেইনলেস ষ্টিল(এসএস) জানালা ক্রয়ের জন্য এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি দুই হাজার ৫০০ টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ৭জুন থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন সার্টিফিকেট চাওয়া এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকা ও ৬০ লাখ টাকার ব্যাংক প্রত্যয়ন, ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ৫০ লাখ টাকার এ ধরনের পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামা না থাকলে টেন্ডারে অংশ নিতে পারেনি অনেক সরবরাহকারী।
সপ্তমত, গত বছরের ৬জুন ট্রেনের বগির বিভিন্ন আইটেমের আরেকটি ইজিপি টেন্ডার নং- ৭০১৭৩০ এর ওপেনিং ছিল। বিভিন্ন ধরনের এলেক্স বক্স, ওয়্যারিং প্লেট ও ব্র্যাকেট ক্রয়ের জন্য এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি ছিল দুই হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ৭ জুন থেকে ২৮ আগস্টের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা ও ৭৫ লাখ টাকার ব্যাংক প্রত্যয়ন, ২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ৫০ লাখ টাকার সমপরিমাণ বগির পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামা থাকারও শর্ত দেওয়া হয়েছিল এ টেন্ডারে।
অষ্টমত, গত বছরের ৬ জুন এমজি কোচের এসএস হাই/লো কমোড, হ্যান্ডেল, ডোরসহ বিভিন্ন আইটেমের আরেকটি ইজিপি টেন্ডার নং- ৭০১৭২৬ এর ওপেনিং ছিল। এই টেন্ডারে মেইনডোর এসএস হ্যান্ডেল সিএমই/২৭০৬ মডেলের মোট ৫৫০টি ক্রয়ের জন্য দুইবার টেন্ডার দেখানো হয়েছে। এমনকি কোন ধরনের সংশোধনীও দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ করেছেন এক সরবরাহকারী। এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি দুই হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি গত বছরের ১৫জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। মাত্র ১৫দিনে এ টেন্ডারের সমুদয় কার্য কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত ছিল না। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন, হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক প্রত্যয়ন, ২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ৪০ লাখ টাকার পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামা থাকতে হবে টেন্ডার বিডারদের।
নবমত, গত বছরের ৬জুন ইলেকট্রিক্যাল আইটেমের আরেকটি ইজিপি টেন্ডার নং- ৬২৬৭৫০ এর ওপেনিং ছিল। ফিডার লাইন কন্ট্রোল প্যানেল ও ডাবল ডোর কেবিনেট ক্রয়ের জন্য এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি দুই হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি ৭জুন থেকে ৩০জুনের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা ও ব্যাংক প্রত্যয়ন, ২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ৩০ লাখ টাকার ইলেকট্রিক্যাল পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামা থাকার শর্ত জুড়ে দিয়ে আরেক কেলেঙ্কারী করেছে টেন্ডার কমিটি।
দশমত, গত বছরের ৬জুন ৭৫০টি এসএস সিট (ডোব টেইল) মডেলের আরেকটি ইজিপি টেন্ডার নং- ৬৯৯৭০৯ এর ওপেনিং ছিল। এই এসএস সিট ক্রয়ের জন্য এই টেন্ডারের জন্য ডকুমেন্ট ফি দুই হাজার টাকা ও টেন্ডার সিকিউরিটি নেওয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। ওপেনিংয়ের পর টেন্ডারটি ৭ জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ম্যানুফ্যাকচার/ডিলারের অথরাইজেশন, আইএসও ও হোম স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। এ টেন্ডার শর্তে তরল সম্পত্তি কমপক্ষে ৬৫ লাখ টাকা ও ৭৫ লাখ টাকার ব্যাংক প্রত্যয়ন, ২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ৫০ লাখ টাকার এ ধরনের পণ্য সরবরাহের চুক্তিনামা থাকতে হবে টেন্ডার বিডারদের। প্রশ্ন উঠেছে এই টেন্ডারটি গত বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মত ওপেনিংয়ের তারিখ ছিল। প্রশ্ন উঠেছে কারসাজির উদ্দেশ্য না থাকলে কেন টেন্ডার সিকিউরিট তাড়াহুড়ো করে রিলিজ করা হয়েছে। আবার মাত্র ১৫ কার্য দিবসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। সরবরাহকারীদের প্রশ্ন সর্ষের মধ্যে ভূত নেইতো।
কারসাজি ও কমিশন আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে টেন্ডার কমিটির সভাপতি ও ডিরেক্টর অব ইনভেন্টরী কন্ট্রোল (ডিআইসি) প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটি পুরানো খবর। আপনাদের এই তথ্য সঠিক নয়। আমরা যা করেছি আইন অনুযায়ীই করেছি।আপনি প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলুন । কতিপয় সাংবাদিক ঈদ বখশিষের জন্য এই সংবাদ নিয়ে কথা বলছে হয়ত।
এ ব্যপারে তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ও বর্তমানে রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী তাপস কুমার দাসকে ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি