পুলিশ কর্তার নামেই চোরাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বাকলিয়ায় গড়ে উঠেছে অবৈধ পলিথিন কারখানা ।এই কারখানা পরিচালনা করে কিশোর গ্যাং সেলিম ।এই সেলিম নিজেই বলেছে ওসি আয়ুব আগে এই নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করলেও এখন সে নিজে চালায় না।এর আগে হুমায়ন কবির নামক এক ব্যাক্তি ওসি আয়ুবের হয়ে এই অবৈধ পলিথিন কারখানা চালাত ।
জানা গেছে, বাকলিয়া থানার চেয়ারম্যানঘাটা মোড়ের রাস্তার দক্ষিণে রাস্তার সাথে লাগোয়া ৬শত জায়গার উপর এই কারাখানা । দিনে মিটারের বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও রাতে অবৈধ লাইনের বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় এখানে। এই কারখানার দরজা রাতে ও দিনে বন্ধ রাখে । অগ্নিকাণ্ডসহ ভয়াবহ কোন দূর্ঘটনা ঘটলে একজন কর্মচারীও বের হতে পারবে না এখান থেকে ।
নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে এই কারখানার পলিথিন বাজারজাত করা হয় । ঘাটেঁ ঘাঁটে ম্যানেজ করেই এই কারখানা চলে বলে স্হানীয় এলাকাবাসী জানায় । কিশোর গ্যাং সেলিম প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না বলে এলাকাবাসীকে বলে বেড়ায় । ডরে ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদও করে না এবং এই বিষয়ে সাংবাদিকসহ কাউকে তথ্যও দিতে চাই না।এলাকাবাসী বলেছে, এই কারখানায় বিশাল অংকের চোরাই বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। এরা প্লাস্টিক দানা ও কাঁচা মালও সংগ্রহ করে চোরাই পথে।
সরেজমিনে এই কারখান পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, ভেতরে বিদ্যুৎচাালিত কারখানা চালুর আওয়াজ শুনা যায় কিন্তু সামনে পিছনের দরজা বন্ধ রয়েছে।আশে পাশের সবাই জানে এটি ওসি আয়ুবের কারখানা । বিষয়টি জানার জন্য আমাদের প্রতিনিধি টূরিষ্ট পুলিশে কর্মরত ওসি আয়ুবের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন । ওসি আয়ুব বলেন , ‘ ১০-১১ সালে এইটি আমি চালাতাম । এরপর হুমায়ন কবির নামক এক ব্যাক্তি এটি কিনে নেয়।পরে শুনেছি হুমায়ন কবিরও এটি বিক্রি করে দেয়’ ।
এদিকে জায়গার মালিক কে এই বিষয়ে এলাকাবাসী বলছে এটি আয়ুব সাহেবের কেনা ও বিদ্যুৎ মিটারও তার নামে । কিন্তু আয়ুব সাহেব এইসব বিষয় স্বীকার করেননি।বর্তমানে যিনি (সেলিম )এই কারখানা চালান তিনি বলেন জায়গাটি ভাড়ায় নেওয়া হয় ।কিন্তু জমিদার কে ও বিদ্যু্ৎ মিটার কার নামে তা জানাতে রাজি হননি ।এই কারখানার বৈধ কি কাগজ পত্র আছে তা জানতে চাইলে তিনি সব আছে বলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন । একটি সুত্রে জানা গেছে , এই সেলিম হলো ওসি আয়ুবের নিকট আত্মীয় অথচ সেলিম তা সঠিক নয় বলে দাবী করে ।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নগরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন কারখানা।এই পলিথিনগুলো জলাবদ্ধতাসহ মারাত্মক পরিবেশদূষণ ঘটিয়ে ভয়াবহ দূর্যোগ টেনে আনছে।এসব অচিরে বন্ধ করে অবৈধ কালো টাকা উপার্জনকারী লোকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত ।