এ বছরের ১৫ই মার্চ পিঁয়াজ আমদানী বন্ধ ঘোষণার পর থেকে বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজের মূল্য ছিলো ২৫-৩০ টাকা কেজি । এর পর ধাপে ধাপে বেড়েছে পিয়াঁজের দাম গত ২ দিন আগেও পিয়াঁজ কেজিতে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হতো।
আমদানির খবরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দাম কমেছে। কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমে গতকাল পাইকারিতে প্রতি কেজি পিঁয়াজ মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। তা ছাড়া ক্রেতাও ছিল কম। যার প্রভাব পড়েছে নগরীর খুচরা বাজারে ।
এদিকে, ভারত থেকে আমদানি করা পিঁয়াজ মঙ্গলবার রাতেই ছয়টি ট্রাক ৮৪ টন পিঁয়াজ নিয়ে প্রবেশ করে খাতুনগঞ্জে। বুধবার থেকে ভারতীয় পিঁয়াজ চট্টগ্রামের এই পাইকারি বাজারে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর থেকে খাতুনগঞ্জে প্রতিদিনই কমছে পিঁয়াজের দাম। মূলত আমদানির খবরে দেশি পিঁয়াজের চাহিদা কমেছে। আজ প্রতি কেজি পিঁয়াজ মান ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। ভারতের পিঁয়াজ আসার পর দেশি পিঁয়াজের দাম আরও কমবে। নগরীর চৌমুহনী কর্ণফুলী কাঁচা বাজারে এক পিঁয়াজ ক্রেতা বলেন, আমদানির অনুমতি আরও আগে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে পিঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত যেত না। আমার মনে হয় পিঁয়াজের দাম আরো কমবে। তবে ভিন্ন মন্তব্য করেন এক খুচরা বিক্রেতা, ভারতের পিঁয়াজ বাজারে আসার কারনে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি । যে দেশী পেঁয়াজ আমাদের পাইকারী ক্রয় মূল্য ৮০-৯০ টাকা সেই পিঁয়াজ এখন খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় । আর ভারতীয় পিঁয়াজ যা এসেছে তার অধিকাংশ পঁচা ও নষ্ট।