গ্রীষ্মকালীন অনেক ফলই পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফল জাম। আমাদের দেশে সর্বত্র কম-বেশি জাম পাওয়া যায়। টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত ফলটির মাখা খেতে পছন্দ করেন বেশির ভাগ মানুষ। শুধু পুষ্টিগুণে নয়, স্বাদেও এই ফল অনেকেরই পছন্দ। জাম খেলে আপনি কী কী উপকার পাবেন, জেনে নেয়া যাক-
গরমের মৌসুমে ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও সানবার্ন বা ট্যানের সমস্যাও দেখা দেয়। গরমের দিনে ত্বকের এই জাতীয় একাধিক সমস্যার সমাধানে কাজে লাগে জাম।
এই ফলে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। তার ফলে ব্রনের মতো সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব, লালচে দাগ ছোপ, র্যাশ এইসব সমস্যাও দূর করে গরমের মৌসুমের রসালো এই ফল। এ ছাড়া শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে জাম। এখানেই শেষ নয়। ব্লাড পিউরি ফায়ার অর্থাৎ অক্ত পরিশ্রুত করার কাজও করে জাম ফল।
প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে এই রসালো ফলের মধ্যে। আর তাই এই ফল হার্টের জন্য খুবই ভালো এবং উপকারী। এছাড়াও এই ফলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপকরণ যা রক্তচাপ সুস্থিত রাখে, ধমনীগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, যে কোনো ধরনের কার্ডিওভাসকুলার অসুখ থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
জামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। এই দুই ভিটামিন বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। আর একই সঙ্গে বাড়ে হজমশক্তি। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই ফল।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলস, ভিটামিন রয়েছে জামের মধ্যে। এইসব উপকরণ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপকরণ যা জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
জাম ফলের সাহায্যে ওজন কমানো যায়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফলে এই ফল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এর পাশাপাশি এই ফল রসালো হওয়ার ফলে শরীর হাইড্রেটেড রাখে, যা গরমের দিনে খুবই দরকার। শরীর থেকে সমস্ত দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে আনে এই ফলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। তার ফলে কমতে থাকে অতিরিক্ত মেদ।