শুঁটকিজ আয়োজিত এগ্রোহাট নিবেদিত হুনি রাঁধনত গুণী হন সিজন-২ চট্টগ্রাম বিভাগের সেমিফাইনাল সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ২৬ মে নগরীর হোটেল পেনিন্সুলা ডালিয়া হলে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জমজমাট এই সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম বিভাগের ২৫ জন প্রতিযোগি অংশ নেন। প্রতিযোগীরা শুটকি রান্নার নিজেদের সেরা রেসিপি বিচারকদের সামনে পরিবেশন করেন। বিজ্ঞ বিচারকগন রেসিপির বিচার বিশ্লেষণ করে এবং বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে বিচার করে ৫ জনকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত প্রতিযোগীরা হলেন, তানভি ফাহিম, ফারাহ আকতার, ফাতেমা আক্তার, আফসারা সাদি ও সায়মা সিদ্দিকা।
আয়োজনে বিচারক হিসেবে ছিলেন, রন্ধনশিল্পী জোবাইদা আশরাফ, রন্ধনশিল্পী রওশন আকতার, রন্ধনশিল্পী নুর আকতার জাহান, রন্ধনশিল্পী সাবিনা ইকরাম সিরাজি ও শেফ ইরফান হোসাইন। পুরো এই আয়োজনে আয়োজক হিসেবে আছেন তৌহিদুল ইসলাম, সায়মা সুলতানা, রুবিনা রুবি, মিজানুর রহমান, প্রলয় হাসান, প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, কাজী ইরফানুল মোস্তফা ও মোহাম্মদ জাহেদুল আলম। প্রতিযোগিতায় মেন্টর হিসেবে ছিলেন কাউসারি সুলতানা, সাউদা ইয়াসমিন, জেসমিন আক্তার জেসি, ফারজানা শরীফ, কোহিনূর জুলিয়া, সাথী সুজন ও নুসরাত জাহান মুনিয়া। সেমিফাইনালে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীকে এগ্রোহাট বাংলাদেশ, টপার কিচেনওয়্যার ও ঘরোয়া থেকে উপহার সহ শুঁটকিজ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এগ্রো হাট বাংলাদেশ এর ডিরেক্টর মোস্তাফা আকবর চৌধুরী, টপার কিচেনওয়ার চট্টগ্রাম জোন ডিরেক্টর হাফিজুর রহমান, ঘরোয়া চট্টগ্রাম ডিভিশন ডিরেক্টর আবু নাসের ভূইয়া।
উল্লেখ যে, অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের ৩০০ জন প্রতিযোগী নিয়ে ৮ মার্চ শুরু হয় এই শুঁটকি রান্না প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব। যেখানে প্রতিযোগিরা নিজের রান্না করা রেসিপি অনলাইনে দেন।যেখান থেকে চট্টগ্রাম জোন ২৫ জন ও ঢাকা জন থেকে ২০জন প্রতিযোগী সেমিফাইনালের জন্য নির্বাচিত হয়৷
উক্ত আয়োজনের পরিচালক ও শুঁটকিজ এর স্বত্বাধিকারী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ ও ক্যামিকেলমুক্ত শুঁটকি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তোলা। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য শুঁটকিকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় করে তোলা। শুঁটকি রান্নায় নতুনত্ব আনা। সেরা শুঁটকি রাঁধুনিদের খুঁজে বের করা আমাদের মূল লক্ষ্য।
দেশের তরুণ নারী উদ্যোক্তা ও প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী সায়মা সুলতানা বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুঁটকি সারা দেশে সবার প্রিয় খাবার। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মূলত মানসম্মত শুঁটকির জনপ্রিয়তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করা মূল উদ্দেশ্য। এতে আমাদের রপ্তানি আয় বাড়বে, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তরান্বিত হবে।গতবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের একমাত্র শুঁটকি রান্না প্রতিযোগীতা “হুনি রাঁধনত গুণী হন সিজন-২”। আগামী ০৯ জুন ১০জন ফাইনালিস্টকে নিয়ে ওয়েল এগ্রো এবং ডেইরি ফার্মে আয়োজিত হবে জমজমাট গ্র্যান্ড ফিনালে। সেদিনই আমরা পেয়ে যাবো হুনি রাধনত গুনী হন-শুটকি রেধে কে হবে লাখপতি।