ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে গত ১৫ এপ্রিল থেকে আফ্রিকার দেশ সুদানে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। চলমান এই সংকটে দেশের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ মে) জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ বলেন, ‘আমাদের কাছে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৮ লাখ ৪৩ হাজার সুদানী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর আরও আড়াই লাখ আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে।’
ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে গত ১৫ এপ্রিল থেকে আফ্রিকার দেশ সুদানে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে। এই সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির রাজধানী খার্তুম যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না।
দুই পক্ষের সংঘাতের কারণে সুদানের প্রতিবেশী দেশ মিশর, ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ সুদানে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে। এ কারণে আর্থিক সংকটে থাকা দেশগুলোতে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। ম্যাথিউ সল্টমার্শ জানান, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সুদানী শরণার্থী মিসরে আশ্রয় নিয়েছে। গত মাসের সংঘাতের পর থেকে এক লাখ সুদানী দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ
ইউএনএইচসিআর এর একজন মুখপাত্র বলেন, প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার নতুন শরণার্থী মিশরে প্রবেশ করছে, যারা আমাদের কাছে এসেছেন তাদের অনেকেই সুদানে সহিংসতা বা বেদনাদায়ক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং কঠিন ভ্রমণের মুখোমুখি হয়েছেন।