সিএমপির বাকলিয়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সাংবাদিক অভি পাল। নয়ন দাশ এবং তার বাবা সুমন দাশসহ দশ বারো জনের একটি গ্যাং এই হামলা চালিয়েছেন বলে স্থানীয় বাকলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এই সাংবাদিক।
গত ২৬ এপ্রিল (বুধবার) বাকলিয়া থানাধীন ফয়েজ বিল্ডিংয়ে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত সাংবাদিক অভির ওপর হামলা চালায় একই বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া নয়ন গংরা।
ঘটনার বিবরণে অভি বলেন, বাড়িওয়ালার ছাদে আমাদের কিছু গাছ ছিলো। গাছগুলো ওদের বাসার সামনে রেখেছি বলে অভিযুক্তরা আমার রুমমেটকে গালি দিতে থাকে। তখন আমি বলি, আপনার যদি সমস্যা হয় তাহলে বাড়িওয়ালাকে বলেন, তিনি বললে গাছগুলো সরিয়ে নেবো। সে সময় নয়ন এসে আমাকে মারধরের হুমকি সহ গালাগাল করতে থাকে। ওরা দুইজন মারামারি করতে আসলে আমরা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিই। সেদিন বিকেলে (৪টা) যখন আমি ঘুমাচ্ছি তখন নয়ন ১৫ থেকে ২০ জন ছেলেসহ আমার বাসায় ঢুকে পরে।সে বলে,তুই বের হ, এখন মারবো তোকে, এসব বলে হামলা করে আমার ওপর । আমার বাসার সবকিছু ভাঙচুর করে এবং আমার পকেট ব্যাগে থাকা ১০,৫০০ টাকা নিয়ে যায়। আমি সাথে সাথে বাকলিয়া থানার ওসিকে ফোন দিলে ওসি পুলিশ ফোর্স পাঠায়। এসে সবকিছু দেখে নয়নের বাবা সুমনকে ধরে নিয়ে যায়, কিন্তু পরে রহস্যজনক কারনে ছেড়ে দেয়। এরপর আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা শেষে বাকলিয়া থানায় এসে একটা অভিযোগ করি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ওর ছেলে নয়ন কিশোর গ্যাং এনে ছাঁদের ওপর পরিবেশ নষ্ট করার মতো আড্ডা দিত, এজন্য ওদেরকে জমিদার তিন চারবার বের করে দিতে চেয়েছিল। ওরা মাদক সেবনকালে আমি একটা ভিডিও করি নিউজের জন্য। ওই ঘটনার সুত্র ধরে আমার ওপর হামলা করেছে ওরা।
বাড়িওয়ালার সাথে অভি পালের একটি ফোনকল সূত্রে জানা যায়,অনেকগুলো ছেলে ছাঁদে এসে মাদক সেবন করে। তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে বলে নয়নের বন্ধু। এছাড়াও অনেক মাসের বাড়ি ভাড়া বাকীসহ বিভিন্ন কারনে তিন মাস আগেই বাসা ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আরও একমাস সময় দিয়েছেন বাড়িওয়ালা ফয়েজ আহমেদ। এ ব্যপারে বাড়িওয়ালার ছেলে তানিম আহমেদ বলেন, ২২ রোজায় বাকলিয়া থানায় অভিযোগ করি। তারা তদন্তে আসে এবং বলে, এই ছেলেগুলোকে পরবর্তী সময়ে এসেছে দেখলে থানায় একটা কল দেবেন, আমরা তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলবো। সাংবাদিক অভির করা অভিযোগের বিষয় বাকলিয়া থানার এস আই রকিবুল প্রথমে বলেন, তদন্ত সম্পর্কে ওসি স্যারকে জানিয়েছি, ওনি বলেছেন যদি এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে। ঘটনার সময় আমরা তদন্তে গিয়েছিলাম। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, এখনো অজ্ঞাত কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি আমরা। তবে খোঁজ খবর নিয়েছি, প্রতিবেদন তৈরি করেছি, গোপনীয় প্রতিবেদন তাই এ সম্পর্কে সবকিছু বলা যাবে না। আমার প্রতিবেদন প্রস্তুত কিন্তু অজ্ঞাতনামা কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি।একইদিনে ভিকটিম অভি এস আই রকিবুলকে মুঠোফোনে অভিযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রকিবুল বলেন, আদালতে পাঠিয়েছি, আদালত আদেশ দিলে আমরা কাজ শুরু করবো।