1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষিণ হালিশহরে ২৯০ জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ কর্মসূচি . ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি গাড়িকে ট্রাকের চাপা, নিহত ১১ পতেঙ্গা লিংক রোডে পাজেরো গাড়ির ধাক্কায় বিদেশি নারী শিক্ষার্থীর মৃত্যু আনোয়ারায় আগুনে পুড়লো উঠান মাঝির ৪৬ ঘর কালা মিয়ার ইন্তেকাল বিশৃংখলা আর জনভোগান্তি সীতাকুণ্ডে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ২ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন জরিমানা ছাড়া মোটর যানের কাগজপত্র হালনাগাদ সময় বেড়ে ১৫এপ্রিল পর্যন্ত বোয়ালিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ারার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত বোয়ালিয়ায়  অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ারার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর প্রায় বিলুপ্ত

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

মোস্তাফিজুর রহমান

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের চিত্র নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। যা এক সময় গ্রামের মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়, গরীবের এসি বাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল এসব মাটির ঘর কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের মাটির ঘরবাড়ী।

আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামে মাটির ঘরের জায়গায় তৈরি হচ্ছে বড় বড় রাজ প্রাসাদ । মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান একটু সুখের আশায় মানুষ কত কিছুই না করছে। তবুও মাটির ঘরের শান্তি ইট পাথরের দালান কোঠায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, রুচিবোধের পরিবর্তন,পারিবারিক নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষার কারণে এখন আর কেউ এসব মাটির ঘরে থাকতে চান না। স্বচ্ছল মানুষেরা এখন ঝুঁকে পড়েছেন পাকা দালানের দিকে। তারপরও মানুষ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণের সাথে সাথে পাকা দালান কোঠা তৈরি করছেন।আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের পরিবর্তনে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর আজ প্রায় বিলুপ্তের পথে।

বেশিদিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে একসময় মানুষের নজর কাড়তো সুন্দর  এ মাটির ঘর, ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে বসবাস উপযোগী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।

আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের বিবর্তনে বিভিন্ন গ্রামে এ চিরচেনা মাটির ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে । অতীতে মাটির ঘর গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলে পরিচিত ছিল। এ ঘর শীত ও গরম মৌসুম সময়েই আরামদায়ক, আরামের জন্য গ্রামের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক বিত্তবানও মাটির ঘর তৈরি করে থাকতেন।

জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই মাটির ঘরের প্রচলন ছিল। এটেল বা আঠালো মাটি কাঁদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত । ১০-১৫ ফুট উচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে খড় টালি বা টিনের ছাউনি দেওয়া হত। মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের তিন-চার মাসের অধিক সময় লাগতো। গৃহিনীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে তাদের নিজ বসত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলতেন।

মাটির ঘরের বাসিন্দা জনৈক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, বাপ, দাদার আমলে মাটির ঘরের সমারোহ ছিল অফুরন্ত কিন্তু আজ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্হান দখল করে নিয়েছে ইট কিংবা কংক্রিটের বড় বড় অট্টালিকা, যার ফলে মাটির তৈরি ঘর আজ গ্রাম থেকে বিলুপ্ত প্রায়। বর্তমান প্রজন্ম এই মাটির ঘরের সাথে অনেকেই অপরিচিত।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla