বিশেষ প্রতিনিধি
ঈদকে সামনে রেখে নগর ও জেলায় গাড়ী ভাড়া বাড়ানোর চক্রান্ত শুরু একটি চক্র।ওই চক্র ঘাটে ঘাটে ম্যানেজ করে ঈদের আগে ও পরে গাড়ী ভাড়া বাড়িয়ে দেয় ।তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায় । ভাড়া নৈরাজ্য চলে পথে পথে ।এবারও ঈদে একই কায়দায় সাধারন মানুষকে বিপদে ফেলে অবৈধ অধিক লাভের লোভে পরিবহণ সেক্টরে একটি চক্র সীমান্তবর্তী ট্রাফিক পুলিশের সাথে আঁতাত করার পায়তারা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অক্সিজেন মোড়, কর্ণফুলী ব্রীজ , কাঠঘর, সিটি গেইট ও কাপ্তাই রাস্তার মাথায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের রাজি করাতে পারলেই সহজে গাড়ী ভাড়া বাড়িয়ে দেয় চালকেরা। কৃত্রিম গাড়ী সংকট দেখিয়ে যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করা হয়।জেলায়ও একই অবস্হা বিরাজ করে।ঈদের কয়েকদিন আগে এই অবস্হা শুরু হয় আর চলে বেশ কয়েকদিন ধরে।আর্ন্তজেলায়ও একইভাবে এই নৈরাজ্য চলে।
হঠাৎ করে গাড়ী ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণ অসহায় হয়ে পড়ে।তখন এই অবস্হায় সাধারন ভোক্তভোগীরা ক্ষমতাসীন দলকে গালিগালাছ করতে দেখা যায় ।অথচ এটার জন্য সবখানে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জড়িত নয়।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শুধুমাত্র অবৈধ অধিক লাভের আশায় পরিবহণ সেক্টরের লোকজনের কারসাজিতে এ অবস্হার সৃষ্টি হয়।এতে কতিপয় দূর্নীতিবাজ ট্রাফিক পুলিশও জড়িত থাকে ।থাকে থানা পুলিশের সদস্যও এমনকি কিছু পাতি নেতাও।
এদিকে আসন্ন ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সরকারি ছুটি এক দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি রয়েছে ২১ (শুক্র), ২২ (শনি) ও ২৩ (রোববার) এপ্রিল। এই ছুটি ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে করার দাবি সমিতির।
জাতীয় নির্বাচনের আগের বছর হওয়ায় এবারের ঈদুল ফিতরে বেশিসংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে পারে। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও প্রায় ৫ কোটি মানুষ যেতে পারে। এতে ১৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহনে বাড়তি প্রায় ৯০ কোটি ট্রিপ হতে পারে।
১৬ এপ্রিল থেকেই ঈদযাত্রা শুরু হয়ে যাবে। বেতন-বোনাস পাওয়ার পর ১৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়তে পারে। তবে ২০ এপ্রিল অফিস খোলা থাকায় যাত্রীদের একটা বড় অংশ এদিন পর্যন্ত যেতে পারবেন না। ফলে এই যাত্রীদের চাপ পরে পড়বে। কিন্তু ২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে যাত্রী চাপ কিছুটা কমতে পারে। অন্যথায় ২১ এপ্রিল সড়ক-রেল-নৌপথের পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে।
গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাই এখন থেকেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
ঈদযাত্রার সময় সম্ভাব্য যানজট নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সড়কের মোড় পরিষ্কার রাখা, ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ ছাড়া ঈদযাত্রায় বিড়ম্বনা এড়াতে পরিবারের সদস্যদের আগে-ভাগে বাড়িতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।