সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধপরাধিদের নিরাপরাধ দাবি করে দেয়া বক্তব্য বিভিন্ন
জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় এবং সরকারি বেতন ভাতা ভোগি ব্যক্তি যুদ্ধপরাধিদের নিরাপরাধ দাবি করে দেয়া বক্তব্য রাষ্ট্রদোহিতার সামিল বলে মনে করেছেন। ড. রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা। চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরস্থ বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত
পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের ৪৪ সেকেন্ডের একটি অডিও বক্তব্যে যুদ্ধপারাধের অভিযোগে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দীন কাদের
চৌধুরীকে নিরাপরাধ দাবি করে তার অফিস স্টাফদের নিয়ে বক্তব্য দেন। এ বক্তব্য অফিসের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে অফিস স্টাফদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি-জামায়াত পন্থী কিছু স্টাফ পরিচালক রফিকুল হায়দারের পক্ষে অবস্থান নেয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নেতা মো. মুছার নেতৃত্বে যুদ্ধপারাধিদের দোসরদের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরিচালকের নির্দেশে বিএনপি-জামায়াত পন্থী এক কর্মকর্তাকে দিয়ে
মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের অফিসার স্টাফদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি পরিচারক রফিকুল হায়দার যুদ্ধপরাধিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে শোকজ করা হয়েছে।
পরিচালকের এমন বক্তব্য চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। অডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় পরিচালকের নির্দেশে মো. জহিরুল আলম হয়ে গত ১৭ মার্চ সিবিএ নেতা মো. মুছা ও তার দুই ছেলে কলেজে পড়ুয়া মো. তৌহিদ(২১), মো. তৌফিক(২৪)সহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে হয়রানিমূলক একটি মামলা করেন। এ বিষয়ে গেরিলা কন্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ বলেন, এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার সাথে সাথে তাকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহি মামলা হওয়া উচিত। রাষ্ট্রের কাছ থেকে বেতন ভাতা নিয়ে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সরকারি বিরোধী এবং রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দেয়ার সাহস কিভাবে পেয়েছে। স্বাধীনতার মাসে এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপমানিত করেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
এই বিষয় ড. রফিকুল হায়দার আমাদের প্রতিনিধিকে ২৮মার্চ ২ টা ৩৪ মিনিট মোবাইলে ( ০১৭১৮ ৩১৩ ৪৪৪ টু ০১৭২০০২৭৫০৫) বলেন এই ভিডিও আমার নয়, কণ্ঠ আমার নয়।