জনবল সংকটে ভোগছে চট্টগ্রাম মেট্টো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর।তাল নেই. তলোয়ার নেই নিধিরাম সদ্দার এই দশা এখন চট্টগ্রাম মেট্টো মাদক নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরে।নানান সমস্যা লেগেই আছে।ফলে থমকে আছে অনেক অভিযানও।
অফিস সুত্রে জানা গেছে, চট্টমেট্রোতে ৬ সার্কেলে গাড়ী আছে মাত্র ২ টি । ৭০ পদের মধ্যে ৪৯ জন কর্মরত আছে। বাকী পদগুলো খালি রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে বিচারাধীন ৪০৭০ টি মামলা রয়েছে মাদক দ্রব্য মেট্রো অঞ্চলে ।একই মাসে ৩৭ টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলা থেকে ২৪টি মামলার চার্জশীট দেয়া হয়।
মেট্রো অঞ্চলের উপ পরিচালক মুকুল জ্যেতি চাকমা বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। ফিসারী ঘাটে রাতেও মদ বিক্রি অনিয়ম ও শৃংখলা বিরোধী ।এটি উচ্ছেদ করা হবে। আমাদের খালি হাতেই অভিযান পরিচালনা করতে হয়। পর্যাপ্ত গাড়ি নেই, লোকবলের সংকটও রয়েছে। নেই নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট ও আর্মস।এতো সংকটের মধ্যেও সাহসের সাথে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি। মাঝে মধ্যে অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীকে খালি হাতেই মোকাবেলা করতে হয়।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে মাদকের বিস্তার। সুনির্দিষ্টভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণের কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটির চেয়েও আইন-শৃঙখলা রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত পুলিশ ও র্যাব-ই এ কাজটি বেশি করছেন।
২০২০ সালে যেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ইয়াবা উদ্ধার করেছে ১৪ লাখ ৪১ হাজার ২০৫ পিস। অ্যনদিকে সিএমপি শুধুমাত্র নগরের ১৬ থানা থেকেই ইয়াবা উদ্ধার করেছে ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫১ পিস ইয়াবা।
সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে ১৯৯০ সালের ২ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণসহ আরও অনেক বিষয়ে কাজ করছে এ অধিদপ্তর। যেমন দেশের মাদক সংক্রান্ত অপরাধ দমন, আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ, আইনের প্রয়োগ, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পূনর্বাসন নিশ্চিতকরণসহ শিল্পে ব্যবহৃত মাদক সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল বা কেমিক্যাল আমদানির জন্য লাইসেন্স প্রদান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে নিবিড় কর্ম সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এ প্রসঙ্গে সুাশসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সভাপতি আকতার কবির বলেন, ‘মাদক নির্মূলে পুরোপুরিভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। কিন্তু তারা তা পারছে না। পুলিশ ও র্যাব নানা কাজের মধ্যেও মাদক নির্মূলে ভালোই কাজ করছে। এখান থেকে তাদের শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন। যদিও তাদের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের উচিত তাদের সে সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা।’