চট্রগ্রাম বন্ড কমিশনারের ড্রাইভার সৈয়দ নাছির উদ্দীনের সম্পদের পাহাড় !
পূর্ব বাংলা ডেস্ক
-
প্রকাশিত সময়ঃ
শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
-
৩০০
বার পড়া হয়েছে
চট্রগ্রামে বন্ড কমিশনারের ড্রাইভার সৈয়দ নাছির উদ্দীন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তার সম্পদের হিসেব কষে এই দপ্তরের অন্যন্যাদের কেমন সম্পদ হতে পারে তা নিয়ে গুজবের শেষ নেই।চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অফিসের গাড়ী চালক সৈয়দ নাছির উদ্দীন মাত্র ৫ বছরের মাথায় বিপুল অর্থ ও সম্পদের মালিক বনে গেছে।
চট্রগ্রাম বন্ড কমিশনারের ড্রাইভার এ সুবাধে নগরীর বিভিন্ন বন্ড কারবারিদের থেকে বন্ড সুবিধা ও বন্ড ক্যাশিয়ার পরিচয়ে মাসে বিপুল টাকা আদায় করে থাকেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের হাতে তার মাসোহারার একটি অংশিক তালিকা এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এশিয়ান গ্রুপ অব কোম্পানী , ফোর এইচ গ্রুপ, ফারজানা এ্যাপারেলস, শানে মদিনা , ইকবাল চেয়ারম্যান হাটহাজারি বন্ড কারবারি, দেওয়ানহাটে আয়ুব আলী বন্ডের কাপড় কালবাজারিসহ সৈয়দ নাছির উদ্দীন ক্যাশিয়ার পরিচয়ে মাসে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে থাকে। নাছির এসব টাকা তাদের উপরিস্হ কর্মকর্তাদের নামেই এসব চাঁদা তুলে থাকে।এসব প্রতিষ্ঠান ও চোরাকারবারীরা মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দিলেও ব্যবসায়ের ক্ষতি হবে এই ভয়ে তারা মুখ খুলে না।
জানা গেছে, কক্সবাজার রামু এলাকায় নামে বেনামে বিপুল সম্পদ আছে।স্ত্রীর নামে কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে বলে একটি সূত্র দাবী করছে।
জানা যায় ২০১৮ সালে বড় অংকের উৎকোচ দিয়ে বন্ড কমিশনারের গাড়ীর ড্রাইভারের চাকুরী নেয় এই নাছির। অল্প দিনের মাথায় নগদে ও সম্পদে বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে এই সৈয়দ নাছির উদ্দীন।
এছাড়াও তার আছে দুইটি বিলাসবহুল গাড়ী যার নাম্বার চট্র মেট্রো চ-১১-২৭০৭ ও চট্রমেট্র ঘ-১১-০৮২১ বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় কোটির ঊর্ধ্বে।
খবর নিয়ে জানা যায়, দূদক থেকে বাঁচার জন্য উল্লেখিত গাড়ি দুইটির কাগজপত্র তার নামে না করে বেনামে আবেদন
করে রাখে ।বর্তমানে গাড়ি ২টি চট্রগ্রাম কাস্টমস শূল্ক গোয়েন্দাতে মাসিক ভাড়ায় লাগায়িত আছে বলে খবর মিলছে । এসব বিষয়ে সৈয়দ নাছির উদ্দিনের বক্তব্য জানার জন্য মুঠো ফোনে বার বার ফোন করলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় কিছুই জানা যায়নি।
More News Of This Category