আনোয়ারা প্রতিনিধি
আটাশ বছরের অধিক সময় ধরে সেলিম নামের এক ব্যক্তি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ গ্রামে রহস্যজনকভাবে বসবাস করছে। তিনি ওই গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের ভোটারও হয়ে গেছেন। এক সময় তাকে আনোয়ারা থানার পুলিশ খোঁজাখোঁজিও করেছিল। তবে তার আচার আচরণ চলাফেরা রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন অনেকে। সেলিম অন্যের ভাড়াটিয়া হয়ে মিথ্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে থানা পুলিশ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগিরা।
সুত্র জানায়, দীর্ঘ আটাশ বছর আগে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ গ্রামে আশ্রয় নেয় সেলিম নামের এই ব্যক্তি। পরে স্হানীয় ‘ই’ আধ্যক্ষরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস শুরু করেন। দেখা যায় তার জাতীয় পরিচিতি পত্র নম্বর ৬৮৬১৭৫৩৭৩৬ ভোটার নম্বর ১৫২১০৬৮০৩৬৯।ভোটার এলাকা দেখানো হয় বৈরাগ ৮নং ওয়ার্ড। নাম মোঃ সেলিম পিতার নাম নুর হোসেন মাতার নাম শাহানাজ স্ত্রীর নাম মমতাজ।জম্ম স্হান চট্টগ্রাম বলে উল্লেখ করা হয়। বর্তমান ও স্হায়ী ঠিকানা দেখানো হয় খোশাল তালুকদারের বাড়ি, গ্রাম/রাস্তা পূর্ব বৈরাগ মৌজা/মহল্লা-বৈরাগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড-বৈরাগ, পোষ্ট অফিস-বৈরাগ, পোষ্টকোড-৪৩৭৬, উপজেলা- আনোয়ারা ও জেলা-চট্টগ্রাম।
স্হানীয়রা আরো জানায়, সেলিম নামের এই ব্যক্তি ১৯৯৪ সালের দিকে বৈরাগ গ্রামে আসে। এখানে তার কোন স্ত্রী সন্তান নেই। তার ঠিকানাও কেউ জানেনা। ‘ই’ আধ্যক্ষর নামক এক ব্যাক্তির আশ্রয় থেকে ভাড়াটিয়া হিসেবে বিভিন্ন মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করে থাকে সেলিম। এই ধরনের একটি জিআর মামলা নং-২২৭/১৭ সাক্ষ্য প্রদান করে সেলিম। ২০২২সালের দিকে চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত হতে উক্ত মামলা থেকে বেকচুর খালাস পায় স্হানীয় এয়াকুব আলী নামে এক ব্যক্তি। ইমাম হোসেনের দায়েরকৃত সিআর ৯৩/২২ মামলায়ও এই সেলিমের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে। তিনি থানা পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে। এভাবে সেলিম এলাকায় অবস্হান নিয়ে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে সীমাহীন হয়রানী করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। ভুক্তভোগি মোঃ এয়াকুব আলীও গুরুতর অভিযোগ করেছেন। অপর একটি সুত্রমতে সেলিমের প্রকৃত বাড়ি ফেনী জেলায়।