নগরীর অভিজাত এলাকা খুলশীতে ভেজাল ও নকল ঔষধ তৈরী ও বাজারজাত করে কোটি কোটি কামিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র।ওই প্রতারক চক্রের সাথে দূর্নীতিবাজ প্রশাসনের লোকজন জড়িত থাকায় এটি বন্ধ হচ্ছে না।ফলে নিরাময় হবার আশায় রোগীরা এসব ঔষধ সেবনে কোন ফল পাচ্ছে না। বরং রোগীরা আরো রোগাক্রান্ত হচ্ছে হারাচ্ছে অর্থকড়িও।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, খুলশী আ/এ ২নং রোডে ১৭৪/১ বাড়িতে গড়ে উঠেছে একটি ঔষধ কারখানা। প্রার্মিক গ্রুপ কোঃ লিঃ নামে এখানকার লোকেরা এটি চিনে থাকে।এখানে নানান নামে এই কারখানায় এন্টিবায়োটিকসহ ৩৮টি ঔষধ তৈরী করে ।উচ্চহারে কমিশন দিয়ে ভুয়া ডাক্তারদের মাধ্যমে এসব ঔষধ রোগীদের সেবন করা হয় ।এসব ঔষধের লেভেলে কোন ঠিকানা লেখা থাকে না।
দেশে উৎপাদিত সবরকমের ঔষুধের দাম হুঁহুঁ করে ফি বছর বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে।আর ঔষুধ নিয়ে মহাবিপাকে পড়ছে সাধারন আয়ের মানুষগুলো।ঔষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় আসল ঔষুধের আড়ালে এসব নকল ও ভূঁয়া ঔষুধ দেদারসে উৎপাদন ও দিনকে দিন বাজারজাত করে চলছে একশ্রেণির মুনাফালোভী অসাধু ঔষুধ মালিক পক্ষ।আর এসব ঔষুধ কিনে নগদে প্রতারিত হচ্ছে সাধারন আয়ের সহজ সরল মানুষগুলো।এসব ঔষধের ২নং গেইটসহ কয়েকটি গোদাম রয়েছে একটি সুত্র দাবী করছে।
সুত্রমতে, আইন প্রয়োগকারী সংস্হা, ঔষধ প্রশাসন ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ বেশ কয়েকবার এই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে । জরিমানা ও সিলগালা করে দেয় । রহস্যজনক কারণে এই কারখানাটি আবারো চালু হয়।স্হায়ীভাবে কেন বন্ধ হচ্ছে না তা কেউ জানে না।
খবর নিয়ে জানা গেছে, মোঃ আজিজ নামক এক ব্যাক্তি এই কোম্পানীর মালিক । তার মোবাইল নাম্বারে (০১৯৩৮ ৮৬২৪৪৪) এইসব বিষয়ে জানতে ফোন করলে তিনি বলেন আমি এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি।মালিকের সাথে আপনি কথা বলুন।ভেজাল ঔষধ সম্পর্কে কথা বলতেই তিনি ইংরেজী বলেন ‘আই এম নট ক্যামিষ্ট’। মালিক ও ক্যামিষ্টদের সাথে কথা বলিয়ে দিতৈ অনুরোধ করলে গরম ও রাগান্বিত কণ্ঠে তিনি বলেন আমি আপনার নাম্বার র্যাব REB কে দেবো বলে হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয়।