বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা, সমিতিরহাট ইউনিয়ন শাখার ব্যবস্থাপনায় সংগঠনের ৪৩-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির হাট ইউনিয়ন ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্না’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরজাদা মাওলানা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্। উদ্বোধক ছিলেন, ব্যবসায়ী রশীদ আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম, ফটিকছড়ি (দক্ষিণ) উপজেলার সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ খোরশেদুল আলম, সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী আজগর, আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন নেতা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ, মুহাম্মদ আমান উদ্দীন নয়ন। প্রধান বক্তা ছিলেন, নারায়ন হাট কলেজের অধ্যাপক ও যুবসেনা ফটিকছড়ি (উত্তর) উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ মুহিউদ্দীন চৌধুরী। মুহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম হামীম ও সৈয়দ মুহাম্মদ হান্নান শাহ্’র যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মুহাম্মদ নাজিম খাঁন মেম্বার, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, এস.এম. নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ রফিকুল আলম, এস.এম. মোরশেদুল আলম, মুহাম্মদ তারেক আলম, মুহাম্মদ নুরুল আবছার, মুহাম্মদ আবুল বশর, মুহাম্মদ সাহেদ, মুহাম্মদ আবদুর রহমান বাবর, মুহাম্মদ হাসান কুতুবী, মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম জনি, মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ শফিউল বশর, মুহাম্মদ শফিউল আকবর, হাফেজ মুহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম, মুহাম্মদ মিজান রেজভী, মুহাম্মদ রিদুয়ান সিদ্দিকী, মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মুহাম্মদ আলাউদ্দীন, মুহাম্মদ নুরুন্নবী, মুহাম্মদ ইউসুফ রায়হান, সৈয়দ মুহাম্মদ সাব্বির, মুহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম, মুহাম্মদ সোহেল, মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন ও মুহাম্মদ তানিম প্রমুখ। কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বায়নের যুগে জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার পরিধি বৃদ্ধি পেলেও সমাজসভ্যতা অমানবিক ও অনৈতিকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। জ্ঞানবিজ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে সুশিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদেরকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, জাতিগঠন ও সমাজ-সভ্যতার বিনির্মাণ শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। শিক্ষার্থীদেরকে তাদের লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে পরিকল্পনা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বিরোধী পাঠ্যক্রম আমাদের সভ্যতার জন্য হুমকি। নৈতিকতা বিরোধী অশালীন পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবেনা। এদেশের জনগণ বা অভিভাবক মহল এমন অপচেষ্টা রুখে দিবে। বক্তারা মনে করেন ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি চক্র পাঠ্যবইয়ে দুরভিসন্ধিমূলক লেখা চাপিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষা ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচারের সাথে সাংঘর্ষিক পাঠ্যক্রমের ব্যাপারে সব অভিভাবককে সজাগ হওয়ার আহবান জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দরা পুরস্কার বিতরণ করেন