ট্রাস্ট কোটিপতি স্কিমের আওতায় ২০ বছর ছাড়াও ৫, ৭, ১০, ১২, ১৫, ও ১৮ বছরে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৫ বছরে গ্রাহককে কোটিপতি হতে হলে ৫ বছর ধরে প্রতিমাসে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা করে জমাতে হবে। আর ৭ বছরে কোটিপতি হতে প্রতিমাসে জমাতে হবে ৮৯ হাজার টাকা করে। ১০ বছরের ক্ষেত্রে এ জমার হার ৫৪ হাজার ৫’শ টাকা। ১২ বছরে কোটিপতি হতে মাসে জমাতে হবে ৪১ হাজার ৫’শ টাকা। এছাড়া ১৫ বছরে কোটিপতি হতে চাইলে প্রতিমাসে জমাতে হবে ২৯ হাজার টাকা।
আর যারা ১৮ বছরে কোটিপতি হতে চান তাদের ২০ হাজার ৯’শ টাকা করে প্রতিমাসে জমাতে হবে। ট্রাস্ট ব্যাংকের এই কর্মকর্তা জনান, ট্রাস্ট ব্যাংকের আরও কয়েকটি আকর্ষণীয় স্কিম রয়েছে। এরমধ্যে ‘ট্রাস্ট ঝিনুক’ স্কিমটি বেশ লাভজনক। এই স্কিমটি আনা হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। মাসিক ১’শ থেকে ৫ হাজার টাকা জমা করার সুযোগ থাকা এ স্কিমের মেয়াদ ২, ৩, ৪, ৫, ৭ ও ১০ বছর।
এ স্কিমের আওতায় আসতে প্রথমে গ্রাহককে (শিক্ষার্থী) ট্রাস্ট ব্যাংকে হিসাব খুলতে হবে। যিনি এই হিসাব খুলবেন, তিনি ‘ট্রাস্ট পড়ুয়া’ গ্রাহক হিসেবে বিবেচিত হবেন। এরপরই ওই গ্রাহক চাইলে ট্রাস্ট ঝিনুক স্কিম গ্রহণ করতে পারবেন। ট্রাস্ট ঝিনুকের মাধ্যমে মাসে ১’শ টাকা জমা করে ২ বছর শেষে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৭০৭ টাকা। আর ৩, ৪, ৫, ৭ ও ১০ বছর শেষে পাওয়া যাবে যথাক্রমে ৪ হাজার ৩০৯ টাকা, ৬ হাজার ১০৩ টাকা, ৮ হাজার ১১২ টাকা, ১২ হাজার ৮৮৩ টাকা এবং ২২ হাজার ৪১১ টাকা।
আর মাসে ৫ হাজার টাকা করে জমালে ২ বছর শেষে পাওয়া যাবে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪০ টাকা। ৩ বছরের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াবে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৬ টাকা। ৪ বছর টাকা জমালে পাওয়া যাবে ৩ লাখ ৫ হাজার ১২৭ টাকা। ৫ বছর টাকা জমিয়ে পাওয়া যাবে ৪ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। ৭ বছর টাকা জমাতে পারলে টাকার অঙ্ক বেড়ে হবে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৭২ টাকা। আর ১০ বছর জমালে পাওয়া যাবে ১১ লাখ ২০ হাজার ৫৭৫ টাকা।
এছাড়াও ব্যাংকটির রয়েছে- ট্রাস্ট স্মার্ট সেভারস স্কিম, ট্রাস্ট অ্যাস্যুরেন্স ডিপোজিট স্কিম, ট্রাস্ট ইকো সেভিংস স্কিম, ট্রাস্ট স্থায়ী আমানত, নারীদের জন্য ট্রাস্ট সৃষ্টি, ট্রাস্ট প্রিভিলেজ এবং ট্রাস্ট ডাবল মানি স্কিম। ট্রাষ্ট ব্যাংকের সেবার বিষয়ে ব্যাংকটির সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরসালিন জানান, ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানির মাধ্যমে মেটলাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ ও মেঘনা লাইফের গ্রাহকরা বিমা পলিসির প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে পারবে।
এছাড়া যে কোনো মোবাইল অপারেটরের মোবাইলে টপ-আপ/এয়ার টাইম রিচর্জ করা যাবে। জমা দেওয়া যাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর নিয়োগ ফি এবং ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফির টাকা। মোবাইলের মাধ্যমে ট্রাস্ট ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলন করাও যাবে।মুরসালিন বলেন, সকল গ্রাহককে ব্যাংকের আওতায় আনার উদ্দেশ্য নিয়েই ট্রাস্ট ব্যাংক গার্মেন্ট কর্মী, ট্যানারি কর্মী, কৃষক, বিলুপ্ত সিটমহলবাসীদের জন্য মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসান খোলার ব্যবস্থা করেছে।
এ হিসাব খুলতে আগ্রহীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও যে স্থানে কাজ করেন তার পরিচয়পত্র আনতে হবে। গ্রামের মানুষদের ট্রাস্ট ব্যাংক বায়ু গ্যাস, মৎস্য চাষ, গবাবি পশু পালনে বিশেষ লোন দিয়ে থাকে। এ লোনের সুদ হার অন্যান্য লোনের তুলনায় বেশ কম বলে জানান মুরসালিন। তথ্যসূত্র : ট্রেডার বাংলাদেশ।