রায়হান হোসাইন
১৮ টাকার ভাংতি পয়সা ২০ টাকায় বিক্রি করে ২ টাকা আয় করেন দুলাল আর এই দুই টাকার ব্যবসায় সংসার চলছে তার। হাতের পাচ আঙ্গুলের ফাকে রাখেন দুই টাকা থেকে ৫ টাকা ১০ টাকার নোট। আর হাতের মুঠোয় থাকে ১ টাকা থেকে পাঁচ টাকার একমুঠো ভাংতি পয়সা। পুঁজি বলতে মাত্র ৩ হাজার টাকা আর এই পুজি দিয়ে প্রতি ১০ টাকায় ১ টাকা আর ২০ টাকায় ২ টাকা লাভ করেন। আজ বাইশ বছর যাবত এভাবেই সড়ক থেকে মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে ভাংতি টাকা, ভাংতি পয়সা বিক্রি করে সংসার চলছে দুলালের৷ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে বছরের ১২ মাসজুড়েই ব্যবসা করছে সে। কখনো হকাদের কাছে আবার কখনো বাস কিংবা টেম্পুতে ফেরী করে করে দৈনিক ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা আয় করে। দুলাল এসব ভাংতি পয়সা খুচরো টাকা ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করে বিধায় বাড়তি কোন টাকা খরচ করতে হয়না তাকে। মাথায় গামছা বেঁধে হাতে ভাংতি পয়সার ব্যাগ নিয়ে সকাল ৬ টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি করে৷ দুলালের এই ব্যবসার ক্রেতা হলো গণপরিবহনের শ্রমিকেরা। গণপরিবহনে প্রচুর ভাংতি পয়সার প্রয়োজন হয় বিধায় দুলালদের মত ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে টাকা ক্রয় করে থাকেন তারা। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ব্যস্ততম সড়ক আগ্রাবাদ বাদামতলীর সড়কই এখন তার ভাসমান ভাংতি পয়সার দোকান। দুলালের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে। ১ ছেলে এক মেয়েসহ চার সদস্যদের পরিবার নিয়ে ডবলমুরিং থানার মোগলটুলীতে ভাড়া বাসায় থাকেন। সচেতন মহলের দাবী, এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে দেশে বেকারত্ব দূর হয়ে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরী হবে।