বোয়ালখালীতে ৪টি গরু চুরি হয়েছে।চৌধুরী এগ্রো ফার্ম থেকে ১২অক্টোম্বর ‘২২ মধ্য রাত চোরের দল বাছুরসহ ৪টি গরু নিয়ে যায়।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা মামলা না নিলে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা রুজু করা হয়।মামলা নং ৪২২/ ২০২২ (বোয়ালখালী)।ফার্মের ম্যানেজার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।খবর নির্ভরযোগ্য সুত্রের।
খবর নিয়ে জানা গেছে, চৌধুরী এগ্রো ফার্মের ২ কর্মচারী ভোলা জেলার লালমোহন থানার মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃ আবুল কাশেম (৪২) ও একই এলাকার আলী মিয়া খানের পুত্র মোঃ আবুল কাশেম (৫১) এর যোগসাজশে গরুগুলো চুরি হয়।দুই কর্মচারীর নাম একই হলেও বয়স ও পিতার নাম ভিন্ন ।বাদীর মামলায় উল্লেখ করেন ওই চুরি হওয়া গরুর আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ টাকা।বর্তমানে চৌধুরী এগ্রো ফার্মে ৩৮টি গরু রয়েছে।
এই গরু চুরির ঘটনা জানাজানি হলে অপরাপর এগ্রো ফার্ম মালিকগণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও ডাকাতদল ফার্মের কর্মচারী ও ক্ষেত্রবিশেষে স্হানীয় ডাকাত ও চোরের সাথে যোগসাজশে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গভীর রাতে গোয়াল ঘর কিংবা ফার্ম থেকে গরু চুরি করে নম্বরবিহীন ট্রাক, চাঁদের গাড়ি, পিকাপ, সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার পাবেন না এ আশংকা বা পুলিশি হয়রানির ভয়ে থানায় অভিযোগও দেন না। ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে।রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় জনতা। কারণ পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে কাউকে আটক করা হয় না। যে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল।