কিছু ঘর কে বরাদ্দ পেয়েছেন জানেন না প্রতিবেশীরাও। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলায় ২১৯টি আশ্রয়ণের ঘর রয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৮৮টি, নলছিটি উপজেলায় ১১০টি এবং রাজাপুর উপজেলায় ২১টি। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার তথ্যানুযায়ী মুজিববর্ষে গৃহহীন উপকারভোগী ১ হাজার ৪৮২ জন। প্রথম পর্যায়ের ৪৭৪টি ঘরের ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৫১টি, নলছিটি উপজেলায় ৪০টি, রাজাপুর উপজেলায় ৩৩৩টি এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৫০টি। দ্বিতীয় পর্যায়ের ৪৭২টি ঘরের ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১২টি, নলছিটি উপজেলায় ৯৫টি, রাজাপুর উপজেলায় ৩৭টি এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৩২৮টি। তৃতীয় পর্যায়ের ৬৮০টি ঘরের ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১৩৮টি, নলছিটি উপজেলায় ৩০২টি, রাজাপুর উপজেলায় ১৪১টি এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৯০টি। চতুর্থ পর্যায়ে নতুন ২১৬টি ঘরের বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১১৮টি, নলছিটি উপজেলায় ৪৮টি, রাজাপুর উপজেলায় ৫০টি বরাদ্দ রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী নির্মিত ঘর সুবিধাভোগী গৃহহীনদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরের নির্মাণকাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরের নির্মাণকাজ চলছে। জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাজাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির আ. রহিম জানান, ওই ঘরগুলোতে আমরা খোঁজ নেব। প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তরা না থাকলে পরে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু ওইসব ঘরের বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাদের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। রাজাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু এবিষয় ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হয়ে বলেন, আমরা এবিষয় খোজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান এবিষয় ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হয়ে বলেন, আমাদের কাছেও কিছু অভিযোগ আছে। কিন্তু ২৫, ৮২, ৮৫, ৯৫, ৩২২, ৩২৩, ৩৮৫ নম্বর ঘরের তথ্যের সঙ্গে আমাদের তথ্য মিলছে না। পরবর্তীতে যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আলম, এবিষয় ভিডিও বক্তব্য দিতে রাজি না হয়ে জানান, যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়, তারা যদি ওই ঘরে না থাকেন তাহলে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে অন্য অসহায়দের নাম অন্তর্ভুক্ত করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।