1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বেড়েই চলছে সোনার দাম বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ দক্ষিণ হালিশহরে ২৯০ জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ কর্মসূচি . ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি গাড়িকে ট্রাকের চাপা, নিহত ১১ পতেঙ্গা লিংক রোডে পাজেরো গাড়ির ধাক্কায় বিদেশি নারী শিক্ষার্থীর মৃত্যু আনোয়ারায় আগুনে পুড়লো উঠান মাঝির ৪৬ ঘর কালা মিয়ার ইন্তেকাল বিশৃংখলা আর জনভোগান্তি সীতাকুণ্ডে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ২ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন জরিমানা ছাড়া মোটর যানের কাগজপত্র হালনাগাদ সময় বেড়ে ১৫এপ্রিল পর্যন্ত

বেগম জিয়ার ‘গৃহত্যাগ, ফখরুলের ‘লালকার্ড’ গণতন্ত্র নস্যাৎ প্রকল্পের অশ্বডিম্ব

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম

রক্ত ও ত্যাগের ফসল গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের ফসল ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল। এ দলের শিকড় খুব গভীরে প্রোথিত। এ দলের শক্তি জনগণ। এদলের সাহস, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও দেশের অগ্রগতি। বাংলাদেশের ভ্রæন আওয়ামী লীগ। এদেশটির ¯্রষ্টা আওয়ামী লীগ। ডিসেম্বর মাস বাঙালির বিজয়ের মাস। ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে দুর্বল করতে মার্কিন সরকার র‌্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই ১০ ডিসেম্বর কে কেন্দ্র করে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত সহ ১৫ রাষ্ট্রদূত বিবৃতি প্রদান করে। ‘বিশ^ মানবাধিকার দিবস’ এ দিবসে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার নীলনক্সা তৈরি হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর ঘিরে কুটনৈতিক পাড়ায় নানা ধরনের আয়োজন চলছিল। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চা চক্র, আর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কুটনৈতিক পাড়ায় ঘন ঘন বৈঠক, বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে কুটনৈতিকদের আনাঘোনা ছিল লক্ষ্যনীয় বিষয়। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র মধ্যে সংঘাত, হানাহানি লাগিয়ে কোনো একটি তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লুটের খেলায় মেতেছিল। শ্রীলংকা যখন দেউলিয়া হয়ে পড়ে তার পর বাংলাদেশকে দেউলিয়া বানাতে সেই বাংলাদেশ বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগে যায়। তাদের সুশীলরা বলেছিল, ‘বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ।’ বিএনপি’র জন্মদাতা মরহুম জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছিল ‘রাজনীতি ডিফিকাল্ট করে দাও।’ জিয়া কালোটাকা, লুটেরা ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সমন্বয়ে তিনি রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের জন্য ডিফিকাল্ট করে গেছেন। জিয়ার পর বিএনপি নেতৃত্বে আসেন খালেদা জিয়া। বেগম জিয়ার আদর্শ ছিল ‘সবার আগে পরিবার’ তিনি তার বোনকে মন্ত্রী বানান, ভাইকে এমপি, নিজ পুত্রকে ‘রাজপুত্র’ হিসেবে অভিষিক্ত করেন। এমনকি চাকর-বাকর, পাইক পেয়াদাদেরও এমপি, রাজনৈতিক সচিব বানাতেও দ্বিধা করেননি। পরিবারের ফাই, ফরমাশ খাটাদেরও হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দেন। তাঁর আদর্শ হলো পরিবার ভালো তো দল ভালো, দল ভালো তো দেশ ভালো। এবার তারা খালেদা জিয়া থেকে সরে এসেছে। বর্তমানে বেগম জিয়া বিএনপি’র নাম মাত্র প্রধান। আসল ক্ষমতার মালিক হলেন ‘তারেক জিয়া’। তারেক জিয়ার বিএনপি’র মূল আদর্শ হলো ‘মানি ফাস্ট’। যা কিছু কর সবার আগে টাকা চাই। সেই লন্ডনি নেতা ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে ঢাকায় একটা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হবে। কয়েকজন মারা যাবে। আন্দোলন বারুদের মতো জ¦লে উঠবে আর তারেক জিয়া দেশে এসে ক্ষমতা দখল করবে আওয়ামী লীগকে জেলে বন্দি করে রাখবে দেশ তাদের হুকুমে চলবে। বিএনপি’র ঢাকা সমাবেশে কোনো দৈব বিপ্লব হয়নি। আন্দোলনতো কোনো স্বপ্নে পাওয়া তাবীজ নয় যে, যা দিয়ে মুহূর্তেই মনের বাসনা পূরণ হবে। দেশের বাহিরে থাকা তারেক আর ফিরোজায় বন্দি খালেদা এবং বিএনপি ১৬ বছর যাবত ক্ষমতার বাহিরে তাই তারা গুজব, মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশকে এখন তারা গুজবের দেশে পরিণত করেছে। ১০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রকে পূঁজি করে অন্য কোনো ঘটনার জন্ম দিতে চেয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়ে গেছে। ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপি এখন ক্ষুধার্ত। তাই সরকারকে ১০ ডিসেম্বর লালকার্ড দেখানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্যর্থতা ঢাকা দিতে নিরাপদ জায়গায় বিশ্রামে আছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুজবের কৌতুকের শেষ নেই। ২০১৪ সালে সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামাতে চেয়েছিল জামাত-বিএনপি। খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছিল ক্ষমতায় গেলে গোপালগঞ্জ নামই পাল্টে দেবেন। ২০১৪ এর আন্দোলনে বেগম জিয়া ‘গৃহত্যাগ’ নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেগম জিয়া লাগাতার অবরোধের ডাক দেন। তিনি তার ‘ফিরোজা’ থেকে বের হয়ে তাঁর গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে চলে আসেন। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত বেগম জিয়া ফিরোজায় যাবেন না থাকবেন গুলশানের দলীয় কার্যালয়েই  এমনটাই ঘোষণা তিনি দেন। তাঁর এই গৃহত্যাগ নাটকটিও ফ্লপ হয়। সে আন্দোলন ছিল ভয়ংকর, গাড়িতে গান পাউডার দিয়ে মানুষ পোড়ানো, আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা ছিল তাদের আন্দোলন। আগুন দিয়ে ৩০০ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, ৫ শত মানুষকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পঙ্গু করে দেয়। অতীতের ন্যায় ১০ ডিসেম্বর তাদের অভিলাশ ব্যর্থ হয়ে যায়। জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য’। তিনি বিরোধী আন্দোলনকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল বিএনপি ১০ ডিসেম্বর এর জনসভা নির্বিঘেœ করার জন্যই ছাত্রলীগের সম্মেলন দুই দিন এগিয়ে আনেন এবং রাজপথ ছেড়ে মাঠে সমাবেশ করার সুযোগ করে দেন। তিনি দেশকে সুষ্ঠু রাজনীতিমুখী করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছেন। আন্দোলন সম্পর্কে ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক মন্তব্য করেছিলেন। ওইদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে জাতীয় কাউন্সিল বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আন্দোলন গাছের ফল নয়। আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না। আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়। আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়। আন্দোলনের জন্য নিঃস্বার্থ কর্মী থাকতে হয়। ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার। আর সর্বোপরি জনগনের সংঘবদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।’ বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দেশের মানুষ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সামর্থবান। বৈশি^ক মন্দা, যুদ্ধ ও করোনা সত্তে¡ও মাথাপিছু আয় ভাল। বৈশি^ক সংকটেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। মতলববাজদের উদার কল্পনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে গত নভেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয় করেছে বাংলাদেশ। ইবলিসের বরপুত্রদের অপপ্রচারে প্রবাসীরা সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত হলেও নভেম্বরে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। হুন্ডিবাজদের দমনের পদক্ষেপ এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো সহজতর হলে জানুয়ারির মধ্যে সুফল দেখা দেবে। গত নভেম্বরে যে রপ্তানি আয়া হয়েছে তা দেশের ৫১ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং এক মাসের রপ্তানি আয় দেশের প্রথম পাঁচ বছরের মোট রপ্তানি আয়ের চেয়ে বেশি। নভেম্বরে ৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। একই সঙ্গে নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। অর্থনীতি সচল রাখার নানামুখি পদক্ষেপ বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বিশ^মন্দার মধ্যেও বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে ঘিরে বেগম জিয়ার ‘গৃহত্যাগ’ এবং মির্জা ফখরুলের ‘লালকার্ড’ গণতন্ত্র নস্যাৎ করার প্রকল্প অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দুরদর্শী দৃঢ়চেতা সাহসী নেতৃত্বের কাছে কোন আন্দোলনই দানা বাধবে না। সবক্ষেত্রে অশ^ডিম্বের মত অসাঢ় প্রমাণিত হবে। সরকারের অর্থনীতি সচল রাখার নানামুখী পদক্ষেপ ও কৌশলের কাছে সব ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও গুজব ব্যর্থ হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে এবং আগামীতে বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। পরিশেষে বলবো, ‘চর্চা করলে সত্যাচার, দূর হয়ে যায় অত্যাচার। দুর্বলেরও বল বাড়ে, সোনার গাছে ফল বাড়ে।’

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla