ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আইএমএফ’র রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা ৩৫তম অবস্থানে রয়েছি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন বাংলাদেশ সম্ভবত ৫৯তম স্থানে ছিল। আমরা মনে করি এটি আমাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন।প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে এম এ মান্নান ফ্লাইওভার উদ্বোধন করতে এসে বলেছিলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব তিনি নিজ হাতে নিয়েছেন। উনার সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালনও করেছেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে হেলিকপ্টারে করে নেভির একটা প্রোগ্রামে এসেছি। তখন আমি লালখান থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারটা দেখছিলাম। অনেক লম্বা একটা ফ্লাইওভার। আমার মনে হয়, এয়ারপোর্ট থেকে লালখান বাজার মোড় আসতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে। কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। চট্টগ্রামে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে। এখানে অনেক শিল্প কারখানা হচ্ছে। এটার ফলাফল আপনারা আগামী ১০ বছরে পাবেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর হালিশহর আবাহনী মাঠে আয়োজিত মাসব্যাপী ৩য় বাংলাদেশ সিএমএসএমই বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি চট্টগ্রামের ছেলে, তাই চট্টগ্রামের প্রতি আমার একটা বিশেষ ভালো লাগা কাজ করে। আমি নিজেও চাই- এখানে উইমেন চেম্বারসহ ব্যবসায়িক সংগঠনগুলো যাতে নিয়মিত মেলা আয়োজন করতে পারে সেজন্য একটি নির্ধারিত জায়গা থাকুক। আপনারা জায়গা খুঁজে আমাকে দেন। আমি জেলা প্রশাসককে বলব, যাতে উনিও খুঁজে। আমি মনে করি যেহেতু আমি ভূমিমন্ত্রী আছি, এটি সুযোগ। আমার সময়ের মধ্যে এটি করে যেতে চাই। আমার মেয়াদ আছে আর এক বছর। আমার পরে যিনি আসবেন, তিনি চট্টগ্রামের নাও হতে পারেন। তাই আমি চাই, যাতে আমি থাকতে থাকতে জায়গা বরাদ্দ দিয়ে যেতে পারি।
পরে ভূমিমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে মাসব্যাপী সিএসএমএসই বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন। এরপর মেলায় আসা স্টলগুলো ঘুরে দেখেন তিনিসহ অতিথিবৃন্দ। এবার মেলায় ছোট-বড় প্রায় ৩০০টি স্টল এবং ৮টি প্যাভেলিয়ন অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদেরকে স্বল্পমূল্যে ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। মেলার প্রবেশ টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ২০ টাকা
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেছেন, চট্টগ্রামে মেলার জন্য একটি স্থায়ী ভেন্যু দরকার। যেটি ঢাকায় আছে। আমার চেম্বার-অফিস কোথায়, সেটির চেয়ে বড় বিষয় হল উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করা। কারণ নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা রয়েছে। বর্তমান সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক কাজ করছেন। উন্নত রাষ্ট্রের জন্য নারী জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে যেতে হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহাবুবুল আলম বলেছেন, আজকের যুগের নারীরা শিক্ষা-দীক্ষায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। এক সময় নারীরা ছিল অবহেলিত। এখন তারা আর অবহেলিত নয়।
চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী এতে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম চেমন আরা তৈয়ব, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, উইমেন চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি আবিদা মোস্তফা, সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক ডা. মুনাল মাহবুব এবং সিএমএসএমই ব্যাংকিং স্পেশালিস্ট আলী সাবেত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উইমেন চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি ও পরিচালক এবং মেলার চেয়ারপার্সন জেসমিন আক্তার।