সৈয়দ মুহাম্মদ মুস্তাকিম নিজ জন্মদাতা মায়ের ডায়ালিসিস খরচ মিটাতে না পেরে, ডায়ালিসিস বৃদ্ধির কারনে দাম কমানো ও মানুষের যুক্তিক দাবীর আন্দোলনে শরিক হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলায় দিন কাঠছে কারাগারে।
পুলিশের এমন অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখে বিশ্বাবাসী হতবাক ও মর্মাহত। যেই পুলিশ দেশ, জাতি ও মানবতার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে মানবিক কাজ করার শপথ নিয়ে চাকরীতে যোগদান করেছিল সেই পুলিশ যদি এরকম অমানবিক কাজ করে তাহলে জনগন যাবে কোথায়?
জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাত দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে দেশকে উচ্চ স্হানে এনেছে এবং বার্মা থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াসহ নানা ধরনের মানবিক কাজ করে বিশ্ব দরবারে একজন মানবিক নেত্রী হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ” দি হিউম্যানিটি অফ মাদার ” উপাধি পেয়ে দেশকে মানবতাবাদীর দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে প্রশাংসিত হয়েছেন।
সেই দেশে পাচঁলাইশ থানার ওসির নেতৃত্বে অমানবিক পুলিশরা এখনো বহাল তবিয়ৎ এ আছেন কিভাবে আজ জন মনে প্রশ্ন জেগেছে। দেশ ও সরকার থেকে চিকিৎসা সেবা পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। সাংবিধানিক অধিকার আদায় করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে কারাগারে যাওয়া মানে তো আমাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার সমতুল্যও বটে। মিথ্যা মামলা দিয়েও ক্ষান্ত হননি আবার ৩দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে আবেদন করেছে পুলিশ।
সকলের মনে প্রশ্ন মুস্তাকিম কি কোন হত্যা, বোমা,ডাকাতি,গাড়ী ভাংচুর ও অপহরন মামলার আসামী ? পাচঁলাইশ থানা পুলিশ তাদের নিজের দোষ দামাচাপার দেয়ার জন্য সাজানো মামলায় কেন তাকে রিমান্ড চাওয়া হল তা আজ জাতি জানতে চায়।
এরকম কিছু অতি উৎসাহী পুলিশির কারনে সৎ, জনবান্ধব, ভালো ও মানবিক পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং পুলিশ ও জনগনের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টি করছে। করোনাকালীন পুলিশের সেবামুলুক কাজে সাধারন জনগনের কাছে যে বন্ধুত্ব তৈরী হয়েছিল তা কোন দিন ভুলার মত নয়।
ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় তার অপরাধ একটাই একজন সন্তান হয়ে মায়ের কিডনি ডায়ালিসিস ফি কমাতে যুক্তিক আন্দোলনে শরিক হওয়া। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের নিকট এই বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামবাসী আশা পোষণ করছেন।