1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ গাড়ির অরাজকতা বন্ধ করতে আবারো বিআরটিএ’র অভিযান আমি আজ কথা দিচ্ছি  আপনাদের একা রেখে পালিয়ে যাব না, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব, আমি আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই- ওয়াসিকা চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিআরটিএ’র সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা অর্ধলাখ মে মাসেও থাকবে তীব্র গরম, তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সব স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ ইসরাইলি মন্ত্রীর টুইটকে ঘিরে তোলপাড় সীতাকুণ্ডে ৫টি চোরাই গরু ১টি পিকাপ একটি দেশী অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩ জন বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় আলিয়া জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো সমাজসেবক মুহাম্মদ ইয়াছিন সওদাগর সংবর্ধিত

বিএনপির এখন বড় চ্যালেঞ্জ ঘর সামলানো

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এখন রাজপথে আন্দোলন করছে। আগামী ১১ জানুয়ারি বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে দলটি অংশগ্রহণ করবে না। আর অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অংশগ্রহণ না করে সেজন্য একটি রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এখন প্রশ্ন হলো, শেষ পর্যন্ত বিএনপি কি তার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করে নিতে পারবে? নাকি বিএনপি ২০১৮’র মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিএনপির জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আন্দোলন নয়, বরং ঘর সামলানো। কারণে বিএনপির সাত জন এমপি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাদের পদত্যাগের পরে যে আসনগুলো শূন্য হয় সেই শূন্য আসনে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই উপ নির্বাচনে বিএনপির একজন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করছেন। যার ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে দূরে রাখা একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়েছে দলটির সামনে।

বিভিন্ন নেতারা এখন তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন, জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কেউই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন এবং দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে, যেখানে যে প্রার্থী জনপ্রিয় তিনি দলের শৃঙ্খলা বা দল থেকে বহিষ্কার করা হবে ইত্যাদি বিষয় একটুও তোয়াক্কা করছেন না। এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন স্বতন্ত্রভাবে। একই অবস্থা হয়েছিল কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির শতাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। তারা দলীয় প্রতীক বা পরিচয় নয় বরং স্বতন্ত্রভাবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। অনেক জায়গায় তারা ভাল ফলাফলও করেছেন। এরকম বাস্তবতায় এখন বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো যে যারা নির্বাচনে ইচ্ছুক তাদেরকে নির্বাচন থেকে কিভাবে দূরে রাখা যায়।

বিএনপি নেতারা এই ব্যাপারে একমত যে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবে না। কাজেই বিএনপি আগামী নির্বাচন বর্জনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছেন। অন্তত দলের নীতিনির্ধারক মহলের এরকম একটি ধারণা। কিন্তু নির্বাচন বর্জনের এই অবস্থান শেষ পর্যন্ত কতটুকু অটুট থাকবে সেটি এখন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপির একটি অংশ নির্বাচনমুখী হয় এবং দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে বিএনপি আরেকটি সংকটের মধ্যে পড়বে। বিএনপি ক্ষমতায় রয়েছে ১৪ বছর। এই সময় অনেক সমস্যা, অনেক সংকট রয়েছে। দলটি ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেও একটি বিষয় নিয়ে বিএনপি গর্ব করতেই পারে তা হলো গত ১৪ বছরের মধ্যে কোন ভাঙন হয়নি। কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সেরকম একটি ভাঙনের শঙ্কা করছে।

বিএনপি তাদের ধারণা যে, এবার নির্বাচনে সরকার অনেক প্রার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে টোপ দিবে। দলগত ভাঙনের চেয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে স্বতন্ত্র নির্বাচনে দাঁড়িয়ে নিয়ে আসা এবং নির্বাচনের জিতিয়ে আনার একটা প্রচেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হবে বলে বিএনপি নেতারা ধারণা করছেন। আর এই কারণেই অনেকেই মনে করছেন যে, বিএনপির যে সমস্ত নেতারা নির্বাচনের দিকে ঝুঁকে আছেন এলাকায় তাদের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। তারা সরকারের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করবেন এবং সরকার তাদেরকে নিশ্চিয়তা দিলে তারা নির্বাচনের মাঠে নামবেন। যেমন, আপনার প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন এবং সেখানে সরকার কোন প্রার্থী দেয়নি। এ থেকে বোঝা যায় যে, বিএনপির মধ্যে নির্বাচনী ধারাকে সক্রিয় করার জন্য একটি মহল কাজ করছে এবং সে কারণেই আন্দোলন নয়, ঘর সামলানোই বিএনপির জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla