ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর ‘সাপ্তাহিক অপরাধ ঘোষনা’ নামক পত্রিকায় এবং পরবর্তীতে ‘বাংলার প্রভাতী’ নামক অনিবন্ধনকৃত অনলাইন পত্রিকায় দ্বিতীয়বারের মত ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন করে কতিপয় সংবাদ প্রকাশিত হয়। মূলত পরিচালক একে ব্যাক্তিগত আক্রোশ সম্বলিত মিথ্যা সংবাদ বলে অবিহিত করেন। ইতিপূর্বে পত্রিকা দুটিতে প্রতিবাদ পাঠানো হলে সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরন করে কোন প্রতিবাদ ছাপানো হয়নি। কোন নিবন্ধন ছাড়া অনলাইন পত্রিকা প্রকাশ এবং এর মাধ্যমে একজন সরকারী কর্মকর্তার মানহানি করা দেশের প্রচলি আইনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
মূলতঃ একজন সরকারী কর্মচারীর চাকরী বিধি লংঘন করে পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক হয়ে যাওয়া, চাকরী না করে মাস শেষে বেতন নিয়ে যাওয়া, সাংবাদিক পরিচয়ে অনৈতিক কাজ করা ইত্যাদি কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু হলে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত কর্মচারী পরিচালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। উক্ত কর্মচারীর বেতর ভাতা পরিচালক বন্ধ করে দিয়েছেন। সে সাথে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ও কম্পেক্স -এর সম্পত্তি অবৈধ দখলে রাখা কতিপয় ব্যক্তি সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তির সাথে যুক্ত হয়ে এ সব মিথ্যা প্রপাগান্ডায় নেমেছেন বলে পরিচালক জানিয়েছেন। উক্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য পরিচালক গত ২৬ অক্টোবর ম্যাজিষ্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি এক প্রতিবাদ লিপিতে পরিচালক বলেন মানুষের চরিত্র হননের জন্য তথাকথিত সাংবাদিকরা এত নীচে নামতে পারে তা ভাবতেও অবাক লাগে। এ যুগেও মানুষের নামে এমন আজগুবি তথ্য দিয়ে কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ হতে পারে তা কল্পনারও বাইরে। পরিচালক বলেন প্রকাশিত সংবাদে আমাকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করেও ক্ষান্ত হন নি। আমার প্রয়াত পিতা মাতাকেও কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এটি বিকৃত মস্তিস্কসম্পন্ন মানুষের দ্বারাই সম্ভব।
প্রকাশিত সংবাদে তার বিরুদ্ধে ডেকোরেটরের ব্যবসা তথা লাইটের ব্যবসার কথা, হজ্জ এজেন্সির ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা বলা হয়। পরিচালকের এ ধরনের কোন ব্যবসা নেই বলে উল্লেখ করেন। প্রতিদিন রাতে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এবং মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজশুনে রাতে ঘুমান বলে যে কথা বলা হয়েছে তাও মনগড়া। রাতে পরিচালক কি শুনে ঘুমান তা ঐ ব্যাক্তি জানার কথা নয়। প্রধান কার্যালয়ে তার পোস্টিং-এর চেষ্টা কিংবা মানুষকে আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে দেয়ার চেষ্টা নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিচালক মনে করেন সরকার তাকে যেখানে পদায়ন করেন এটিই তার চাকরী। আর কাউকে কোন দেশের নাগরিক বানিয়ে দেয়ার ক্ষমতা পরিচালকের নেই।
এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা পরিচালকের সামাজিক মর্যাদা বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
মোহাম্মদ তৌহিদুলআনোয়ার
পরিচালক
ইসলামিকফাউন্ডেশন
চট্টগ্রামবিভাগীয়কার্যালয়