এম. আলী হোসেন
চট্টগ্রামে মনজুর আলম সাধারণ মানুষের অতি জনপ্রিয় ব্যাক্তি । ওয়ার্ড কমিশনার, ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও বিপুল ভোটে মেয়রও হয়েছিলেন মনজুর আলম। চট্টল বাঘখ্যাত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে তাঁর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা দেশবাসী টের পেয়েছিল।তখন অবশ্য তাঁর পাশে ছিলেন বিএনপি। ওই সময়ে তিনি খালেদা জিয়ার ছিলেন উপদেষ্ঠাও।তখন মহিউদ্দিন চৌধুরী বিরোধী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামাত ভর করেছিলেন মনজুর আলমের উপর।
অসহায়-দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের পাশে মোস্তফা হাকিম গ্রুপ সবসময় নিবেদিত আছেন।অসংখ্য সামাজিক , স্বাস্হ্য ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্টাতা তিনি কিংবা তাদের পরিবার।তার আপন ভাইপো দিদারুল আলম সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য।
চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে সামাজিক কর্মকাণ্ডে মনজুর আলমের অবদান অতুলনীয় । বছরের সকল মৌসুমে তার সাহায্যের হাত প্রসারিত থাকে। শীতে শীত বস্ত্র প্রদান, রমজানে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী, নিয়মিত শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা, বিভিন্ন দুঃসময়ে দরিদ্র ও অসহায়দের পাশে থেকে মনজুর আলম চট্টগ্রামবাসীর মনে স্হান করে নিয়েছেন।তার্ এলাকার লোকজন ভাবছেন, তিনি যদি এমপি হতেন। তাহলে তাদের আরো সুবিধা হতো।
এদিকে, সাবেক মন্ত্রী ডাক্তার আফসারুল আমিন গুরুতর অসুস্হ হয়ে রাজনীতি গুঠিয়ে ফেলেছেন।এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনজুর আলম , আ জ ম নাছির উদ্দিন ও খোরশেদ আলম সুজন শক্ত প্রার্থী বলে জানা গেছে।তিন জনই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আফসারুল আমিনের এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান নিশ্চিত দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত।যিনিই আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হোক না কেন বিএনপি নির্বাচন করলে লড়তে হবে নোমানের সাথে।এই কারণে আওয়ামী লীগ থেকে কে প্রার্থী হবেন তা অনেকটা অনিশ্চিত ।এক্ষেত্রে জিতে আসার জন্য বরাবরের মতো আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবে এবার। তখনই নানা হিসাব ও মেরুকরণ কাজে লাগাবে অনেকে।
আ জ ম নাছির উদ্দিন ও খোরশেদ আলম সুজন নিখুঁত আওয়ামী এই বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই।তবে আওয়ামীলীগসহ সর্বদলে রয়েছে মনজুর আলমের জনসমর্থন।কিন্তু এই সংসদীয় আসন জুড়ে রয়েছে গুজবের ডালপালা।অনেককে বলতে শুনা গেছে,আ জ ম নাছির উদ্দিন ও খোরশেদ আলম সুজন নিখুঁত আওয়ামী লীগার কিন্তু মনজুর আলমও কী তাই ?